করোনাকে তোয়াক্কা না করেই উত্তর ২৪ পরগনায় ভোট প্রচারে এক সাথে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা ঃ আগামী ১৭ই এপ্রিল পঞ্চম দফার ভোটে উত্তর ২৪ পরগনার ৩৩টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনে ভোট হতে চলেছে। যার ফলে কোভিড অতিমারিকে তোয়াক্কা না করেই ভোট প্রচারের জন্য জমায়েত করলেন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা থেকে বাদ যায়নি বাম, কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীও। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রাঙ্গনে তাদের মতাদর্শ ভিন্ন হলেও ক্ষমতায় আসীন হবার লড়াইতে কেউই ভিন্ন নয়।

করোনা বিধি আপাতত শিকেয়। মাক্স ছাড়াই মুখে দলীয় পতাকা নিয়ে ভক্তদের ভীড়। কারন করোনার বিধি মানার থেকেও অতি মূল্যবান এখন ২১ এর ভোট যুদ্ধ। ফলে প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃত্বরাই৷ অদ্ভুত
বিষয় এই যে, ভোটের জন্য তাঁরা একে অপরকে দোষারোপ করতেই ব্যাস্ত। কারণ একটাই, বাংলার মানুষের কে বেশি ক্ষতি করেছে, আর বর্তমান বা ভবিষ্যতে কি কি করলে ভালো হবে।

কিন্তু অবাক কান্ড করোনা বিধি না মেনে প্রচার কার্য নিয়ে কিন্তু কেউ কাউকে কিঞ্চিৎ মাত্র দোষারোপ করতে আগ্রহী নয়। দমদমের সভাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে নিয়ে বিজেপির খুব ভয় তাই দিল্লি থেকে নেতারা এসে কলকাতায় বসে আছে। দিল্লি পুলিশকে দিয়ে ভোট করাচ্ছে। ওরা ইচ্ছে করে ইভিএম খারাপ করবে৷ ফলে অনেকটাই সতর্ক থাকতে হবে তৃণমূলের ভোট সৈনিকদের।

এদিন তিনি রাজ্যের উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরে বলেন, “বাংলার সম্মান বাংলাতেই থাকবে এবং বিজেপি গো-হারা হারবে৷ বাংলা বাঁচাতে খেলা হবেই।” অন্যদিকে বারাসতের কাছাড়ি ময়দানে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “নন্দীগ্রাম দিদিকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছে। দিদি কখনও শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলেন না। চারদফা ভোটের পরই দিদি রেগে যাচ্ছেন। ফলে বিপদকালে বুদ্ধিনাশ। যারা গরিবদের চাল চুরি করেছে, তাদের বিধানসভায় যাওয়া উচিত নয়।

তিনি আরও বলেন যে, “বাংলায় তোলাবাজির সরকার চলছে৷ মমতার বিচার করবেন জনতা। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। চার দফায় বিজেপির আসন সেঞ্চুরি হয়ে গেছে৷ চালচোর খাদ্যমন্ত্রীর জামানত জব্দ করুন। দিদি ১০ বছরের শাসনে গরিবদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাই পদ্ম প্রতীকে ছাপ দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলুন।” এরই মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাদু। ওখানে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর পোস্টার।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে বিজেপি। এই ধরনের কোনও ঘটনা তাঁরা করেনি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বারাসাতেও। আগামী ১৭ই এপ্রিল ভোট বারাসত, মধ্যমগ্রাম সহ উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায়। তার আগেই নৈহাটিতেও বিজেপি কর্মীর উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে গেছে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply