ফের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা বাংলায়, সতর্কবার্তা জারি মৌসম ভবনের

0


HnExpress ওয়েদার রিপোর্ট ঃ বিগত ২০ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষত এখনও দগদগে। আর এরই মধ্যে আবারও সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হতে চলেছে বাংলা। ফের আরেক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সতর্কবার্তা জারি করলো মৌসুম ভবন। আগামী রবিবার থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

হাওয়া অফিস সুত্রের খবর, আগামী মাসের মাঝামাঝিতে বঙ্গোপসাগরে আগত নিম্নচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী মে মাসের ৫ তারিখের পর আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যার শক্তির তীব্রতা ও গতিবেগ আয়লা, আমফান, ইয়াসের মতোই হতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।



ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশের গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৫৮ দিন গ্রীষ্মের দাবদাহে ফুটিফাটা দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি কিছুটা হলেও স্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে। কলকাতা সহ কিছু কিছু জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টিতে গাছ ভেঙে পড়েছে, ভেঙে পড়ে ইলেক্ট্রিক পোল, মোবাইল টাওয়ার, ক্ষতি হয়েছে কিছু ঘরবাড়ির।

তবে ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রার তাপপ্রবাহ থেকে সামান্য নিস্তার পেল বঙ্গবাসী। বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলী, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গের ৮টি জেলায় হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। এরই পাশাপাশি নয়া ঘূর্ণিঝড় এর সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। মে মাসে ইদানিংকালে পর পর ঘূর্ণিঝড়ের দাপট বাংলায়। উল্লেখ্য, সিত্রাং (Sitrang) ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে Thailand। এই সাইক্লোনটি বঙ্গোপাসাগরে প্রবেশের পর শক্তিবৃদ্ধি করবে বলে জানা যাচ্ছে। সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলেও তাণ্ডব চালাতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply