মশাবাহিত সংক্রমণ জিকার প্রভাবে কেরলে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ দেশে করোনা সংক্রামনের পাশাপাশি এবার দোসর হল মশাবাহিত জিকা ভাইরাস! এমনিতেই কেরলে কোভিড সংক্রমণ বেশ উদ্বেগজনক। মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে মহারাষ্ট্র এবং কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর গলায় বেশ গভীর উত্কন্ঠাও শোনা গিয়েছিল। তার মধ্যেই জানা গেল কেরলে জিকা ভাইরাস এর সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপসর্গ দেখেই তিরুঅনন্তপুরম, কান্নুর এবং কোচির ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-তে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ১৩ জনের শরীরে জিকার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এর আগেও একবার জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছিল ২৪ বছরের এক তরুণীর শরীরে। এবারে সব মিলিয়ে কেরলে জিকা ভাইরাস এর হদিস মিলল ১৪ জনের শরীরে। কেরল সরকার জানিয়েছে, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ১৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ওই তরুণীর শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়ার পরেই। সেখানেই পজিটিভ এসেছে আরও ১৩ জনের রিপোর্টে। জিকা মূলত মশাবাহিত ভাইরাস। তবে এই ভাইরাস ছড়ায় এডিস মশাদের থেকে। এই রোগের উপসর্গ হল, তীব্র জ্বর, গলায় ইনফেকশন, ত্বকে চাকা চাকা দাগ, অসম্ভব মাথা যন্ত্রণা, শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে, গর্ভবতী মহিলাদের জিকা সংক্রমণ হলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তা প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভস্থ শিশুর সুস্থ স্বাভাবিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও। বিশ্বস্ত সুত্রের খবর, প্রায় প্রতি বছরই কেরলে জিকা সংক্রমণ ছড়ায়।। স্বাস্থ্য মহলের মতে, ডেঙ্গির মতো পরিষ্কার জলেই জন্মায় এই জিকার সংক্রমণ বাহিত মশাও। সরকারকে স্বাভাবিক ভাবেই বেশ চিন্তায় ফেলেছে এই নতুন সংক্রমণ। জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে কেরল রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন।