বাড়ছে কৃষক মৃত্যুর সংখ্যা, ফলে অতিবৃষ্টিকে দায়ী করছেন কৃষক সম্প্রদায়

0

HnExpress ১২ই সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ বাড়ছে কৃষক মৃত্যুর সংখ্যা, ফলে অতিবৃষ্টিকে দায়ী করছেন কৃষক সম্প্রদায়। বর্তমানে প্যান্ডেমিক পরিস্থিতির মধ্যেও খরার চেয়ে বেশি অতিবর্ষণে কৃষকদের আত্মহত্যার হার বাড়ছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে, অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের মৃত্যু স্বাভাবিকের থেকে ১৮.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। আর খরার সময় তো মৃত্যু সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৬% বেড়ে যায়।

আর এই সমীকরণের ফলে দেখা যাচ্ছে যে, দেশে খরার প্রকোপের থেকে বৃষ্টির আধিক্যের ফলেই মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন কৃষক সম্প্রদায়। অতিবৃষ্টি যে কতটা মারাত্মক, কতটা ভয়াবহ হতে পারে সম্প্রতি তার উদাহরণ হলো ভারতের মধ্যপ্রদেশ। সুত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশে অতিবৃষ্টির জন্যই ৮ জন কৃষক আত্মহত্যার মত পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। সেচ ও কৃষি উন্নয়ন দপ্তরের আশঙ্কা যে, ইতিমধ্যেই অধিক বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই প্রচুর শস্য নষ্ট হয়েছে।

ফলে চাষীরা তাঁদের ঋণের বোঝা শোধ করতে অক্ষম হচ্ছেন। এবং বিশেষত তার জন্যই তাঁরা আত্মহননের মত পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০০১ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে গ্রামীণ অঞ্চলে ৯৪৫৬ জন চাষীর মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ মৃত্যুই কারণ স্বরূপ অতিবর্ষণের ক্ষতির ফলে ঋণের দায় ভারের জন্যই হয়েছে।

গত বছর ভারতে কৃষিক্ষেত্র ও দিনমজুরদের মৃত্যুর হার মিলিয়ে মোট আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার। এর মধ্যে কৃষির সাথে যুক্ত মানুষের মধ্যে ১০ হাজার ২৮১ জন রয়েছেন এই তালিকায়। কৃষককের মৃত্যু সংখ্যা হল ৫ হাজার ৯৫৭ জন। আর সমীক্ষা অনুযায়ী যেসব রাজ্যে কৃষক মৃত্যুর হার বেশি হয় সেগুলি হল, মহারাষ্ট্র (৩৮.২ শতাংশ) যা সবার আগে রয়েছে।

আর এরপরেই এগিয়ে রয়েছে কর্নাটক (১৯.৪ শতাংশ), তারপর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (১০ শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (৫.৩ শতাংশ), ছত্তিশগড় (৪.৯ শতাংশ) ও তেলাঙ্গানার (৪.৯ শতাংশ) মত উন্নত রাজ্যগুলি।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply