দায়িত্ব নিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নয়া ডিজি

0

HnExpress নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা ঃ দেশগঠনে প্রচার ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা আছে। বিষয়টি মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় ‘আউটরিচ ব্যুরো‘ (আরওবি)-র মহা-অধিকর্তা (ডিজি) হিসাবে পাঠানো হল অভিজ্ঞ সাংবাদিক তথা প্রশাসক রবীন্দ্র নাথ মিশ্রকে।

রবীন্দ্রবাবু ১৯৮৭ সালের ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিসের অফিসার। এর আগে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে পশ্চিমাঞ্চলের ডিজি ছিলেন। স্থানীয় আঞ্চলিক আরওবি-তে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আছে রাঁচি, পটনা ও ওড়িশা। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-কে মাথায় রেখে পূর্বতন ডাইরেক্টোরেট অফ অডিওভিজ্যুয়াল পাবলিসিটি (ডিএভিপি), সঙ অ্যান্ড ড্রামা ডিভিশন, ডাইরেক্টোরেট অফ ফিল্ম পাবলিসিটি, ডাইরেক্টোরেট অফ পাবলিকেশন ডিভিশন মিশিয়ে কিছুকাল আগে তৈরি হয়েছে এই ‘আউটরিচ ব্যুরো‘।

আবাস যোজনা, স্বচ্ছতা অভিযান, আয়ুস্মান ভারত, ইন্দ্রধনুষ প্রকল্প, কৃষক কল্যাণ পরিকল্পনা প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বহু মানুষের কাছে এই সব প্রকল্পের বা এসবের সুফলের খবর পৌঁছোচ্ছে না। রবীন্দ্রনাথ বাবুর বক্তব্য, এই গুলোর সার্থক রূপায়ণে দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ণ একটা গতি পেতে বাধ্য।

তিন দশকের কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি আসীন ছিলেন। এগুলোর মধ্যে আছে কাঠমান্ডুতে প্রসার ভারতীর সংবাদদাতা, অল ইন্ডিয়া রেডিওর বার্তা বিভাগ, দূরদর্শনের বার্তা বিভাগ, দিল্লি, রায়পুর ও শ্রীনগরের পিআইবি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বপূর্ণ নানা পদ। জন্ম লখনউয়ে। এর পর বিহারের মধুবনী, পঞ্জাবের পাতিয়ালায় পড়াশোনা। কিন্তু ছেলেবেলা থেকেই বাবা-র কাছে শুনেছেন কলকাতার বহু কথা।

এ শহরের ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক চেতনা— সব মিলিয়ে একটা অন্য ধারণা তৈরি হয়েছিল রবীন্দ্রবাবুর। কিন্তু আসা হয়ে ওঠেনি প্রায় মধ্যজীবন পর্যন্ত। প্রায় দু’দশক আগে প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহরাও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ভাষণ দিতে এলে তাঁর সফরসঙ্গী হিসাবে এক ঝলক প্রথম দেখেন শহরটাকে। বছর পাঁচ আগে তিনি আকাশবানীর কেন্দ্র- অধিকর্তাদের বৈঠকে যোগ দিতে আসেন। তবে সেটাও ছিল ছোট্ট সফর।

কলকাতা তাঁর কাছে প্রায় নতুন শহর। বললেন, “তাই দায়িত্ব নেওয়ার পরেই দেখে এসেছেন হাওড়া ব্রিজ। কত সিনেমা হয়েছে এই ব্রিজে। আর, এই যে অফিস ঘরে বসে আছি, এই বাড়িটা ঐতিহ্যভবন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন। কলকাতায় এত ঐতিহ্যস্থান আছে, দেখতে হবে একটা একটা করে।” পঞ্জাবে রবিন্দর নামটা খুব পরিচিত। বন্ধুদের বলি, আমি কিন্তু রবিন্দর নই, রবীন্দ্র।

জানেন, বাবা আমার নামটা রেখেছিলেন গুরুদেবের কথা মনে রেখে। দাদা দেবেন্দ্রনাথ। ভাই সুরেন্দ্রনাথ। বাবা একসময়ে বেনারসে পড়তেন। একবার সুভাষচন্দ্রবসু গিয়েছিলেন সেখানে। বিপ্লবী হিসাবে তখন তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের ফতোয়া ছিল কাছে না যাওয়ার। কৌতূহুলী ছাত্ররা বিভিন্ন বাড়ির ফাঁকফোকর দিয়ে নেতাজীকে দেখেছিলেন। ভাবতেও ভাল লাগছে এই সব বীরদের কর্মভূমিতে এসেছি।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply