ভরসন্ধ্যায় গোলাগুলিতে উত্তাল যাদুঘর চত্বর, অবশেষে আটক অভিযুক্ত জওয়ান
শনিবার ভর সন্ধ্যাবেলায় এক হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল কলকাতার ভারতীয় যাদুঘর। এক সিআইএসএফ জওয়ানের এলোপাথারি গুলিতে মৃত এক।
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ শনিবার ভরসন্ধ্যায় গুলির শব্দে কেপে উঠল ব্যস্ত শহরের জাদুঘর চত্বর। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো এক সিআইএসএফ এর জওয়ান। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিআইএসএফ-এর (CISF) একজন কনস্টেবল এবং একজন পুলিশ আধিকারিক। এছাড়াও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিতে আহত হয়েছেন বহু সংখ্যক। জানা গেছে, কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানের ইউনিট হেড এদিন হঠাত্ পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।
একে ৪৭ পিস্তল থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। কিন্তু কেন তিনি এমন আচরণ করলেন? সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি এখনও। গুলিবিদ্ধদের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সুত্রের খবর অনুযায়ী একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রঞ্জিত সারেঙ্গি, বয়স ২৬ বছর। ঘটনার তদন্ত নিয়ে তত্পরতা শুরু হয়েছে কলকাতা পুলিশের। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
সূত্রের খবর, কুড়ি থেকে পঁচিশ রাউন্ড গুলি চলেছে জাদুঘরের সিআইএসএফ ব্যারাকে। খবর পেয়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে যাদুঘরে প্রবেশ করেন কম্যান্ড বাহিনী। পুলিশের তরফে মাইক দিয়ে আত্মসমর্পনের জন্য ঘোষণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পার্কস্ট্রিট চত্বরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় কিডস্ট্রিট সংলগ্ন রাস্তা। ফলে পার্কস্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেড জুড়ে বৃহত্তর যানযটের সৃষ্টি হয়। অফিস ফেরত মানুষকে সহ্য করতে হয় চরম ভোগান্তি।
অবশেষে এতকিছুর পর আত্মসমর্পন করলেন কলকাতা জাদুঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো সিআইএসএফ (CISF) জওয়ান। অনেক চেষ্টার পরে তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। অভিযুক্ত জওয়ানের নাম অক্ষয়কুমার মিশ্র। তিনি সিআইএসএফ-এর ইউনিট হেড। তাঁর চালানো এলোপাথাড়ি গুলিতে একজন কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন অফিসার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। যার নাম সুবীর ঘোষ।
অভিযুক্ত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সেই মানসিক অবসাদের কারণেই কি এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল? তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ছিলেন কলকাতা পুলিসের কমিশনার। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে রুদ্ধশ্বাস অভিযানে নেতৃত্ব দেন। টিয়ার গ্যাস ছুড়ে ভিতরে ঢোকে কলকাতা পুলিসের কম্যান্ড বাহিনী। সঙ্গে মাইকিং করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার অভিযানের পরে অবশেষে অভিযুক্ত জওয়ানকে নিরস্ত্র করে গ্রেফতার করে পুলিস।