December 11, 2024

ঐতিহ্যের হাটখোলা ক্লাব পদার্পণ করল ১০০ বছরে

0
Img 20191205 Wa0004.jpg
Advertisements

HnExpress দেবাশিস সুর, কলকাতা ঃ গত ২৬শে আগস্ট ভাগীরথীতে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় জিয়াগঞ্জের সদরঘাট থেকে বহরমপুরের গোরাবাজার কলেজ ঘাট পর্যন্ত ১৯ কিলো মিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা। দেবরাজ ‘দি হাটখোলা ক্লাবের’ সঙ্গে জড়িত। দেবরাজের মত অজস্র সাঁতারু দেশ-বিদেশে কখনও ক্লাবের, কখনও বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। সেই ঐতিহ্যের এই ক্লাবের বয়স হয়েছে ১০০ বছর। শুরু হয়েছে শতবর্ষ উদযাপনের পূর্ণ প্রস্তুতি।

ঘরের ছেলে’কে হারিয়ে জঙ্গিপুরের আহিরণ ঘাট থেকে বহরমপুরের গোরাবাজার কলেজ ঘাট পর্যন্ত ভাগীরথীর বুকে ভারতের অন্যতম ৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ সাঁতার প্রতিযোগিতা জিতে নিলেন কলকাতার দেবরাজ পাত্র। দেশ সবে স্বাধীন হয়েছে। কলকাতার গায়ে তখনও ব্রিটিশরাজের পূর্ণ প্রভাব। ১৯৪৮ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ভারতীয় সন্তরন ও ওয়াটার পোলো দল অংশ নিয়ে নৈপুন্য দেখাল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন যামিনী দাস। তিনি ছিলেন হাটখোলা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম ও প্রানপুরুষ। ক্লাবটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯২০ সালে।


১৯৫১ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্বর্নপদক এনে দিয়ে ছিলেন আমাদের এক কিংবদন্তি সাঁতারু শচীন নাগ। ১৯৮২ সালে দিল্লীতে এশিয়াড ভিলেজে একটি ব্লক তৈরী হয়েছিল তাঁর নামাঙ্কিত। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে তিনি অংশ নেন। তিনি সাঁতার শিখতেন সেই সময়ের প্রখ্যাত সাঁতার শিক্ষক বিজিতেনদ্র নাথ বোস মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে এই হাটখোলা ক্লাবে। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে এই ক্লাবের আরও এক কিংবদন্তি সাঁতারু পদ্মশ্ৰী আরতি সাহা (গুপ্ত) অংশ নেন।

১৯৫৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে প্রথম এশিয় মহিলা হিসেবে অত্যন্ত বিপদসঙকুল ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে বিশ্বে সাড়া জাগিয়ে ছিলেন আরতি সাহা (১৯৪০ – ২৩ আগস্ট ১৯৯৪)। তিনি মাত্র চার বছর বয়স থেকেই সাঁতার শেখা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে খ্যাতনামা সাঁতারু মিহির সেন তাকে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করতে অণুপ্রাণিত করেন এবং ১৯৫৯ সালে প্রথম এশীয় মহিলা সাঁতারু হিসাবে তিনি ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।শুধু তাই নয় ১৯৬০ সালে প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসাবে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে ২৯ সেপ্টেম্বরে ভারতীয় ডাক বিভাগ তাঁর নামাঙ্কিত ডাকটিকিট প্রকাশ করে।


ক্লাবের অন্যতম কর্মী জানান, ‘দি হাটখোলা ক্লাব’-এর শতবৰ্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা হচ্ছে। ৮ ডিসেম্বর, রবিবার দুপুর ১২ টায় গঙ্গাবক্ষে এক দূর পাল্লার (১৪ কিঃমিঃ) সন্তরন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সমগ্র বাংলা এই সন্তরণ প্রতিযোজগিতা শুরু হবে ১২ টায় পানিহাটি বারো শিব মন্দির গঙ্গা ঘাট থেকে। আর শেষ হবে কুমারটুলি গঙ্গা ঘাটে।

Advertisements

Leave a Reply