এ রাজ্যে প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদকর্মীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত হলো “ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন”
HnExpress ২৪শে নভেম্বর, অরুণ কুমার, কলকাতা ঃ বস্তুত অনলাইন ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের রাজ্যেও।
ফলে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন নবীন-প্রবীণ সকলেই। কিন্তু তাদের কাজ করতে গিয়ে নানান অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আর সেই উদ্দেশ্যেই এ রাজ্যে প্রথম অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত হলো DMA বা “ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন”।
এই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের সরকারি স্বীকৃতি সহ কর্মক্ষেত্রে নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, এমনকি রেলে ভ্রমণ সহকারে কয়েক দফা দাবি আদায়ের জন্য এ রাজ্যের সমস্ত ডিজিটাল সাংবাদিকদের নিয়ে প্রথম পাঠ হিসেবে এই প্ল্যাটফর্মটিকে তাঁরা এক ছাতার তলায় এনে সকলকে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট দিশার দিক নিয়ে এগোতে চাইছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৯ই নভেম্বর ২০২০, কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল মিডিয়াকে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মতোই সমান গুরুত্ব সহকারে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলত, কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশ জারি করে ডিজিটাল বা অনলাইন মিডিয়া, অনলাইন চলচ্চিত্র এবং অডিও-ভিসুয়াল প্রোগ্রামকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে নিয়ে এসেছে। এই প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষরও করেছেন।
অর্থাৎ সমস্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এখন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনস্থ। এরই মধ্যে রাজ্যের সবকটি জেলা থেকেই ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকরা, যাঁরা প্রায় দীর্ঘদিন ধরেই ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্যে নানা খবর পরিবেশন করছিলেন তাঁরা একত্রিত হয়ে তৈরি হল “ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন”। বর্তমানে যাঁদের সদস্য সংখ্যা ৩ শতাধিক। যার সভাপতি পদে সর্বসম্মতি ক্রমে নির্বাচিত হন সাংবাদিক অরিন্দম রায় চৌধুরি ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়।
১৮ই নভেম্বর ২০২০, গত বুধবার পি আই বি-র আমন্ত্রনে ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সমিতির সদস্যরা কলকাতার PIB অফিসে ডিজি রবীন্দ্রনাথ মিশ্রার সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি ডিজিটাল সংবাদকর্মীদের একাধিক দাবি সম্বলিত একটি পত্র লিখিত আকারে ডিজির কাছে পেশ করা হয়। সেখানে আলোচনা হয়, আগামী দিনে কোন পথে হাঁটতে চলেছে ডিজিটাল মিডিয়া এবং কোন পথে তার ভবিষ্যৎ তৈরি হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।
এদিন সংগঠনের সভাপতি অরিন্দম রায় চৌধুরী ব্যাক্ষা করে বোঝান যে, কেন প্রয়োজন এই ধরনের সংগঠনের ও কি ভাবে সদস্য বাছাই করা হচ্ছে সংগঠনের জন্য। অপরদিকে, এই বিষয় ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক সুব্রত রায় বললেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সেতু বন্ধনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিজিটাল মিডিয়াকে এবার আর অগ্রাহ্য করা যাবে না।
এদিনের পি আই বি-র পূর্বাঞ্চলের নির্দেশক রবীন্দ্রনাথ মিশ্রা ও উপ নির্দেশক চিত্রা গুপ্ত-র সঙ্গে আলোচনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অরিন্দম রায় চৌধুরি, সম্পাদক সুব্রত রায়, সহ সভাপতি শুভ্রজিৎ দত্ত, সহ সম্পাদক দেবাশীষ সেনগুপ্ত, কোষাধ্যক্ষ মৌসুমি দেওয়ানজি। কার্যকরী সমিতির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রণব বিশ্বাস, সমিত সিনহা, বিশ্বজিৎ দেওয়ানজি এবং সুস্মিতা সাহা।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন বা DMA এ রাজ্যে প্রথম সংগঠন, যেখানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে কাজ করেন এমন সমস্ত সংবাদকর্মীদের দাবি আদায়ের জন্যই কাজ করতে চাইছে। দাবি আদায়ের জন্য এক ছাতার তলায় এনে সকলকে নিয়ে নির্দিষ্ট একটি দিশার দিকে এগোতে চাইছে। ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনই প্রথম সংগঠন যারা এ বিষয় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ পেলেন স্বয়ং পি আই বি-র মত কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কাছ থেকে।