জেলায় প্রথম ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসতে চলেছে—

0

HnExpress ফারহান গাজী, ডায়মন্ড হারবার ঃ গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করছে করোনা ভাইরাস। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে অক্সিজেনের সঙ্কটের সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্য এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। বর্তমান সময়ে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে অক্সিজেনের ঘাটতি যাতে না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সমগ্র রাজ্যে বসেছে ৫ টি অক্সিজেন প্লান্ট। যার মধ্যে অন্যতম ডায়মণ্ডহারবার। ডায়মণ্ড হারবার এর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয়েছে এই প্লান্ট বসানোর কাজ।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর যে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেড নামক এক সংস্থা এই অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ করছে। সাধারণত এ টাইপ, বি টাইপ ও ডি টাইপের অক্সিজেন সিলিণ্ডার থাকলেও, এখানে মূলত ডি টাইপ সিলিণ্ডারের অক্সিজেন তৈরি হবে। যে ডি টাইপ সিলিণ্ডারের অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৪১৩ লিটার। এই প্রসঙ্গে ডায়মণ্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল প্রফেসর (ডঃ) উৎপল দাঁ বলেন, “প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করে এই প্রকল্পটির কাজ চলছে।

আর কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তৈরি হওয়া তরল অক্সিজেন রোগীদের কাছে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌঁছেও যাবে”। এখানে অক্সিজেন সিলিণ্ডারের মাধ্যমে নয়, রোগীদের কাছে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে তরল অক্সিজেন। বর্তমানে পরিশুদ্ধ করে তরল অক্সিজেন তৈরি করা হলেও, আগামী দিনে এখানে আরোও তরল অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই মুহূর্তে ডায়মণ্ড হারবার গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং কোভিড সেফ হোমে অক্সিজেনের কোন ঘাটতি নেই বলেই জানা গেছে।

শুধুমাত্র করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রেও পরিষেবা সচল রাখতে বদ্ধপরিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ডায়মণ্ড হারবার গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং কোভিড সেফ হোমে শয্যা সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর। কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কায় কার্যত বেসামাল গোটা দেশ। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। বেলাগাম করোনা পরিস্থিতির মাঝে নতুন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অক্সিজেনের সঙ্কট। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুমুখে বহু রোগী। এবার সেই কথা মাথায় রেখেই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দপ্তর।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply