রাজ্যে প্রথম করোনায় মৃত্যু দমদমের বাসিন্দা ৫৪ বছরের প্রৌঢ়ের, চিকিৎসাধীন ছিলেন আমরি হাসপাতালে
HnExpress ২২শে মার্চ, দেবনাথ চক্রবর্তী, কলকাতা ঃ রাজ্যে প্রথম করোনায় মৃত্যু হলো দমদমের বাসিন্দা ৫৪ বছর বয়সী প্রৌঢ় সমীর কুমার মিত্র, যিনি ১৩ই মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাইপাস সংলগ্ন আমরি হাসপাতালে। এতদিন রাজ্যে একের পর এক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ছিল না কোনো মৃত্যুর খবর। অবশেষে মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের সাথে লড়তে লড়তেই দূর্ভাগ্যবশত আজ বিকেল ৩:৩৫ মিনিট নাগাদ বন্ধ হয়ে যায় তাঁর হৃদযন্ত্র।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১৩ই মার্চ খুশখুশে কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ভর্তি হন তিনি বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে। তিন দিন ধরে চিকিৎসা চলাকালীন ১৬ই মার্চ তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। তড়িঘড়ি তাঁকে পাঠানো হয় আইসিসিইউ ইউনিটের স্পেশাল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সেখানেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আর সাথে সাথেই তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় ল্যাবে। তারপর রিপোর্ট আসলে জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ।
চলছিল তারই সাধ্যমতো চিকিৎসাও। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতাল সুত্রের খবর, মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। আজ তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্যে ছড়িয়েছে আতংক। লাইফ সাপোর্ট দিয়ে শেষবারের মতো সুস্থ করার চেষ্টাও বিফল হয় এদিন। বর্তমানে ওই ব্যাক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, চলছে পরীক্ষা। তবে ভাইরাসে সংক্রমিত প্রৌঢ়ের মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে না পরিবারের হাতে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে যে, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সমীর কুমার মিত্রের দেহটিকে ডিসপোজাল করা হবে। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, মৃতব্যক্তি সমীর বাবু কয়েকদিন আগেই বিলাশপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে যান ঘুরতে। আর সেখান থেকে ফিরেই জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে সংক্রামিত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। সাথে এটাও জানা গেছে যে, তিনি বিলাশপুর থেকে আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস ট্রেনেই ফিরেছিলেন কলকাতা। সারা দেশে এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা হলো ৮জন, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৪ শতাধিক।