দুর্গাদের ভাবনায় এবার এগিয়ে বাংলার দুর্গারা

0

HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা ঃ সিরিজের নাম ‘নেচার‘। কোনওটি ব্রোঞ্জের, কোনওটি টেরাকোটার, কোনওটি সেরামিকের। পাঁচটি দুর্গার ভাস্কর্য। শিল্পী অলকানন্দা সেনগুপ্ত। অ্যাকাডেমিতে চলছে এ রকমই সাত জন মহিলা শিল্পীর প্রদর্শনী ‘জ্যোতিরূপা’, —দুর্গাদের ভাবনায় এবার এগিয়ে বাংলার দুর্গারা। প্রদর্শনীতে নজর কাড়ছে বর্ণালী রায়ের ২৮“ বাই ২৩“ -র লিথোগ্রাফিক ‘দৃষ্টিরূপেন‘, ১১“ বাই ১০“-র এচিং ‘মাতৃরূপেন‘, ১৬“ বাই ২৪“-এর ‘দেবীরূপেন‘, মানে মায়ের নানা রূপ।

প্রশংসনীয় কাজ পপি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাক্রিলিকে ১৬“ বাই ২০“-র ‘শুভঙ্করী‘, ২৪“ বাই ২৪“-এ শুভঙ্করী, ৩০“ বাই ৩৬“-এ ‘রুদ্রানী‘। পিয়ালী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘রুদ্রানী‘-র চারটির সেটও (২০“ বাই ২৪“) নজরকাড়া। রূপালি রায়ের ‘দুর্গা‘— দুটি ২২“ বাই ২৪“-এর এবং একটি ২২“ বাই ৩৪“-এর সেট।

অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আমাদের এবছরের পুজো পরিক্রমা ২০১৯, যারা যারা আমাদের সাথে পার্টনার ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।

অপর যে দুই শিল্পীর ‘মা’ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে, তাঁরা হলেন মৌমিতা ঘোষ ও রুচিরা মজুমদার পাল। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রদর্শনীর উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ছিলেন শিল্পী সমীর আইচ, শঙ্কর ঘোষ, লেখিকা বাণী বসু প্রমুখ। চলবে ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত, প্রতহ্য ১২ থেকে ৮টা। বাংলায় ব্যাপক ভাবে উপাসিতা দুর্গামূর্তির উদ্ভব ও বিকাশের কাহিনি বহুমাত্রিক।

প্রত্নবিদ গৌতম সেনগুপ্ত তাঁর ‘বাঙালির দুর্গা’ নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ‘‘বাংলায় দেবী উপাসনার সূচনা সুদূর অতীতে, প্রাক্-খ্রিস্টীয় শতকে।’’ (দুর্গা/ বাংলার ঐতিহ্যে, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ)। কৌম সমাজে পূজিতা মাতৃকামূর্তি থেকে আজকের সপরিবার মহিষমর্দিনী রূপে বিবর্তন বহু স্তর পেরিয়ে।

আর প্রাচীন চিত্রকলায় দুর্গার নানা রূপের বিচিত্র প্রকাশ। কালীঘাট পটে, জলরঙে বা তেলরঙে এমন সব ছবি নিয়ে চিত্রকূট গ্যালারিতে প্রদর্শনী ‘দ্য গডেস’, ২৮ সেপটেম্বর থেকে শুরু হয়েছে (৩-৮টা)। আবার বিশিষ্ট শিল্পীদের ছবি ও ভাস্কর্য নিয়ে ‘দুর্গা ২০১৯’ প্রদর্শনী হয়েছে গ্যালারি ল্য মেরে-তে (৪-৮টা)।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply