ভয়াভব অগ্নিকান্ড হাতিবাগান মোড়ে, দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে
HnExpress ২রা ডিসেম্বর, প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ হাতিবাগান শব্দটি শুনলেই সেই ছবিটা ভেসে ওঠে চোখের সামনে, সারি সারি দোকান, সরু ফুটপাত, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভীড় আর নিরাপত্তা বিধি না মানার ছবিগুলি। মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ হঠাৎই ভয়াভব অগ্নিকান্ড হাতিবাগান মোড়ের দুইটি ফাস্ট ফুডের দোকানে। আগুনের তাপ এতটাই বেশি ছিল যে, আগুনের লেলিহান শিখা তিনতলা বাড়ির সমান উঠে যায়। ফলে মাথার ওপরে থাকা কারেন্টের তারেও আগুন ধরে যায়। তবে দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় কিছুটা হলেও আগুন আয়ত্তে আসে।
সুত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দারা সময় নষ্ট না করে দমকলে খবর দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। স্থানীয় সুত্রের খবর, এদিন আগুন লাগার প্রায় সাথে সাথেই গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটারও আওয়াজ পাওয়া গেছে। ফলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে যে, গ্যাস সিলিন্ডার লিক করেই এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডটি ঘটে থাকতে পারে। তবে এখনো সঠিক কোনো কারণ কিছু জানা যায়নি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতেই এখন অগ্নিকান্ড যেন একটা বড় ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হাতি বাগানের টাউন স্কুলের ঠিক কাছাকাছি একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে। এদিকে, যে জায়গায় এই বিধ্বংসী আগুন লেগেছে তার কাছেই রয়েছে বেশ ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা, তায় আবার লেপ, কম্বল মুড়ি দেওয়া শীতের রাত। যার ফলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ সুত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে, ৪টি ইঞ্জিনের দ্বারা দমকল বাহিনী আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
দুটি দোকান পুড়ে যাওয়ার খবর ছাড়া এখনও অব্দি আর কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বেশির ভাগি নিরাপত্তার আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দোকান, বাড়ি, বাজার গড়ে ওঠে। তাঁরা বে-আইনি ভাবে ছাড়পত্রও পেয়ে যায়। ফলস্বরূপ এরকম বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড হতেই থাকে। তবে এদিনের ঘটনায় আহত কিম্বা নিহত কেউ হয়েছেন কিনা এখনো জানা যায়নি।