রবিবারের বৈঠকী আড্ডা ঃ পঞ্চম ভাগ
HnExpress একটু অন্যরকম, কবি সৃজন ঃ
~রবিবারের আড্ডায়~
ছোটদের শেখা
—পাল পাড়ার ঐ ছোট্ট গুপী
পরতো মাথায় টুপি,
সকাল-বিকেল ঘর ছেড়ে সে
পালায় চুপি-চুপি।পড়াশুনায় মন নেই তার
লম্বা-চওড়া কথা,
পান থেকে চুন খসলে পড়ে
বিগড়ে যায় তার মাথা।মা’র সাথে তার বোঝা-পড়া
রোজ রাতে হয় আড়ি,
বাবা’র সাথে ঝগড়া হলে
ফিরতো না সে বাড়ি।রায় বাড়ির সেই বাগানখানি
কাটা তারের ঘেরা,
এক লাফে সে করতো যে পার
পৌছে যেতো ডেরা।রায় বাবুদের কুকুরটি তার
পোষ মেনেছে আগে,
ভক্ত ভেবে তার পাশে রয়
সখ করে রাত জাগে।সে এক দারুণ মদ্দা কথা
চোর দেখে সে ডাকে,
গুপী তখন ঘুমের ঘোরে
জোর-সে ডাকে মা’কে।এই হলো এক হাসির কথা
পাঁচ কানে যায় যদি,
দশ মোড়লে মুরগী করে
কিনবে নতুন গদি।এই গুপী আজ টেরা চোখে
ঘর করেছে পর,
শিখবে না সে লেখাপড়া
বাধবে চড়ায় ঘর।যেকোনো রকম বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।
তাই বলে কি বলবো সবাই
মেঠো ছেলে সেকি ?
বদ মেজাজি খামখেয়ালি
ব্যাটা বুদ্ধির ঢেকি।ওর বাবা রোজ খোলাপোতায়
দম দিয়ে খায় বিড়ি,
উল্টো দিকে গুপী দেখি
দৌড়ে ওঠে সিড়ি।এ তো গেলো গুপীর কথা
কুকুরটা বেশ কালো,
করতো ভরাট বিষ্ঠা ভরে
বাগানটা’কে আলো।সে কি কথা তাই কি গো হয়
দুধ দিয়ে ভাত চেনা?
এক ফোটা গো-চানা পড়লে
দুধ কি গো যায় কেনা ?ভুল করে তাই সব শিশুরা
হয়ো না আর গুপী,
পড়াশুনা করবে রোজই
একলা চুপিচুপি।কুকুরকে তো বাসবে ভালো
লাই দিয়ে নয় মাথায়,
যদিও কুকুর প্রভুভক্ত
রেখো না এক ছাতায়।ওর প্রতি প্রেম থাকবে জানি
ঠিক রেখো ওর ঘর,
তোমার কুকুর তোমারই রবে
ধরবে না কেউ পর।তাই এসো আজ হাসি মুখে
দুষ্টুমি সব ভুলে
ইস্কুলে যাই সময় মতো
মানুষ হবো বলে।