January 15, 2025

তুরস্ক-সিরিয়ার বিধ্বংসী ভূমিকম্পে দুর্গত মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই অব্যাহত

0
Advertisements


HnExpress মাসুদূর রহমান : বেঁচে থাকার লড়াই কথাটা আমাদের প্রতি পদে পদে অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় যে মানুষের জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে নিয়ে আসে। সেটাই এখন তুরস্ক-সিরিয়া বাসীদের কাছে দুঃসময়ের। কত মানুষ হারিয়েছেন তাঁর আপনজন, কত পরিবার চিরতরে বিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে। এখনও কত মানুষ কত পরিবার কত বাড়ি ঘর চাপা পড়ে রয়েছে ভগ্নস্তূপের নীচে।

সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে ছড়ায় আতঙ্ক। জোরালো কম্পনে ধসে পড়ে সুউচ্চ আবাসন সহ বিভিন্ন ছোটো বড় ইমারত। ঘুমের মধ্যেই ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েন বহু মানুষ। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ। যার স্থায়িত্ব ছিল ৪৫ সেকেন্ডের মতো।



ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর গাজিয়ানতেপ। এর উৎপত্তি ছিল ভূ-ভাগ থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি নিয়ত সেই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অনুমান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণও হতে পারে। শুধু একবার নয় মোট তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার মাত্র ছিলো ৭.৮,৭.৬ এবং ৬.০।

যা রীতিমতো উল্লেখিত সেই বিস্তৃর্ণ এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিনত করে দিয়েছে। বেশ কয়েক হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা তো ক্রমশঅ বেড়ে চলেছে। বিপর্যয় পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেই, সাথে ভারতও ত্রান সহ দুর্যোগের বিপর্যয় সামলাতে রেসকিউ টিম পাঠিয়েছে বলে সুত্রের খবর। তুরস্কের এমন দুঃসময়ে তাঁর পাশে যে ভারতবাসী রয়েছে তা স্পষ্ট। ভারত পক্ষ থেকে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।





দলে রয়েছে, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দল, ড্রিল মেশিন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ভোর রাতের এই ভূমিকম্পে হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, আতঙ্কিত দিশেহারা মানুষ। গ্রাম এবং শহরের অলিতে গলিতে উদ্ধারকর্মীদের ধ্বংসস্তূপ অনুসন্ধানের সাথে সাথে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

Advertisements

Leave a Reply