স্তব্ধ স্টুডিও পাড়া, কর্মবিরতিতে অনড় পরিচালকরা

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: স্তব্ধ স্টুডিওপাড়া, কর্মবিরতিতে অনড় পরিচালকরা, ফলে টালিগঞ্জে কার্যতই বন্ধ ক্যামেরা। যার জেরে পরিচালক বনাম টেকনিশিয়ান সংঘাত তুঙ্গে। সোমবারও কাটল না সেই জট। এখনও কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন পরিচালকরা। আগামীকালও কাজ করবেন না তারা, বহাল থাকবে কর্মবিরতির (Shooting Strike) সিদ্ধান্তই। সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টা স্পষ্ট করলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly), অরিন্দম শীল (Arindam Sil), রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty), অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya), অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutt), ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর (Indranil Roy Chowdhury) মতো পরিচালকেরা।

এদিন পরিচালকদের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। প্রায় ৪০০ পরিচালকের পক্ষে একে একে বক্তব্য রাখেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল চৌধুরী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ। তাঁদের বক্তব্য, ‘এই যে ডিভাইড অ্যান্ড রুল, এটা খুবই অনভিপ্রেত। এই বিভাজনটা দয়া করে করবেন না। টেকনিশিয়নদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেকটা পরিবারের মতো। এখানে ‘আমাদের পেটে লাথি মারা’র মতো মন্তব্য শুনতে চাই না। এগুলোকে প্রশ্রয় দেবেন না। আপনারা জানেন কত কাজ আগে আসত। আমরা বাইরে গেলে আমাদের বলেন, ‘এখানে অনেক ঝামেলা’। এখানে নানা ধরনের আইনের জন্য তাঁরা আসেন না। কোনটা আইন, কোনটা বলবৎ করা যায় সেটা আলোচনা করার সময় বোধহয় এবার এসে গেছে।

রাহুলের ঘটনাটা আমাদের উস্কে দিয়েছে। আমরা চাই আইনের একটা মানচিত্র তৈরি হোক, নয়তো এই ইন্ডাস্ট্রিকে (Film industry) বাঁচানো যাবে না।’ পরিচালকদের দাবি, ‘কাউকে কাজে আসতে বারণ করা হয়নি, পরিচালকরা কর্মবিরতি করছেন।’ তবে ‘বয়কট’ বিতর্কে ফেডারেশনের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন পরিচালকেরা। ‘এক তরফা ভাবে আইন তৈরি করছে ফেডারেশন। এই সব আইনের জেরে সবার কাজের অসুবিধা হচ্ছে। একপেশে আইনের জন্য কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা কতজন লোক নিয়ে কাজ করব, সেটা কি বাইরের লোক ঠিক করে দেবে না দিতে পারে? টলিপাড়ার আইন খতিয়ে দেখতে কোনও তৃতীয় পক্ষ থাকুক। সিনেমার লোক হোক, কিন্তু আইন বোঝেন এমন কাউকে যুক্ত করা হোক।

টেকনিশিয়ানদের (Technicians) সঙ্গে পরিচালকদের কোনও সংঘাত নেই। অচলাবস্থার জেরে সবপক্ষেরই ক্ষতি হচ্ছে। নিয়মের বেড়াজালে কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে জানান পরিচালকরা (Directors)। টালিগঞ্জের জট কাটল না দুই গিল্ডের (Guild) পক্ষ থেকে করা পৃথক বৈঠকেও। বন্ধ যাবতীয় শ্যুটিং, ফাঁকা সটুডিও। সিরিয়ালে রিপিট টেলিকাস্টের আশঙ্কা। ‘পরিচালকদের কর্মবিরতি অনভিপ্রেত। কিছু মুষ্টিমেয় পরিচালক ইন্ডাস্ট্রি স্তব্ধ করে দিয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে ইন্ডাস্ট্রিকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে’, দাবি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। ‘অচলাবস্থা কাটুক, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হোক’, বিবৃতি ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশনের।