শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বারাসতে এসএফআই এর বিক্ষোভ মিছিল, সামাল দিতে পুলিশের লাঠি চার্জ

0


HnExpress বারাসত, প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ ঃ সবই খুলছে, সবই চলছে, শুধু খুলছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাস কয়েক ধরেই চাপানউতর চলছে স্যোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সমস্ত নিউজ মিডিয়াতেও। কিছু দিন আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে কলকাতার রাজপথে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিল এবিভিপি। আজ বারাসতে সেই একই দাবিতে বিক্ষোভ দেয় এসএফআই। প্রথাগত ভাবেই পুলিশ আটকালে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় এসএফআই কর্মীদের। ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে বিক্ষোভ হটায়।

আর বিক্ষোভ ভাঙতে একাধিক এসএফআই ছাত্রকর্মীদের গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর আগেও বাম দলের যুবনেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বামেদের ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি। মৌলালির মোড়ে সেই কর্মসূচি ঘিরে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ধুন্ধুমার হয়েছিল পুলিশের। পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয়েছিল, ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল তালতলা থানার এক পুলিশ আধিকারিকের উর্দি।

দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মইদুল ইসলাম মিদ্যা নামে বাম যুব সংগঠনের এক নেতার। সেই মৃত্যুর প্রতিবাদে মৌলালিতে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর সদর দফতর দীনেশচন্দ্র ভবনের সামনে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছিলেন, এক পুলিশকর্মীকে বেশ কিছু দূর তাড়িয়ে নিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। প্রাণ ভয়ে সেই পুলিশকর্মী স্থানীয় এক রেস্তরাঁয় লুকিয়ে পড়েন। বাম কর্মী-সমর্থকরা তালতলা থানার ওই সাব ইনস্পেকটর দত্তের উর্দি ছিঁড়ে দেন।

দীর্ঘক্ষণ ওই রেস্তরাঁয় ‘লুকিয়ে’ থাকার পর লালবাজার থেকে পুলিশ বাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। মৌলালিতে যখন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলছে, বিক্ষোভকারীদের একটা অংশ তখন পুলিশ মর্গের সামনে পুলিশকর্মীদের উপরেও চড়াও হয়। এক পুলিশকর্মীর মাথা থেকে হেলমেট খুলে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। যদিও সেখানকার পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার নেয়নি। এসএফআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই ঘটনার জন্য কলকাতা পুলিশই দায়ী। দলীয় কর্মসূচির মধ্যে পুলিশ অভব্য আচরণ করেছে।



এক ছাত্রনেতার কথায়, ‘‘আমরাই পুলিশকে মারের হাত থেকে বাঁচিয়েছি।” সোমবার সেই এসএফআই এর তরফ থেকে বারসত স্টেশন থেকে মিছিল করে বারাসত জেলাশাসক দপ্তরে যায় ডেপুটেশন জমা দিতে। জেলাশাসকের দপ্তরে প্রবেশ করতে গেলে সিড়িতেই আটকে দেয় জেলা পুলিশ। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হওয়াতে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়ায়, ফলে পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠি চার্জ করে বিক্ষোভ আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে। তারপরই এসএফআই ছাত্র সংগঠন বারাসত চাঁপাডালি মোড় অবরোধ করে। অবরোধ করা হয় এয়ার্পোরটের ভিআইপি-যশোরোডেও। পরিশেষে পুলিশ এই বিক্ষোভকারী ছাত্র নেতা সহ ৭ জনকে আটক করে অবরোধ তুলে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বলে সুত্রের খবর।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply