November 15, 2024

সংবেদনশীল মুখ্যমন্ত্রী, সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করার পরেই মইদুলের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরির আশ্বাস—

0
Advertisements

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে মৃত বাম যুবকর্মী মইদুল ইসলাম ছিলেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা। তিনি পেশায় ছিলেন অটো চালক। বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ছিলো তাঁর সংসার। এদিন মইদুলের মৃত্যুর পরেই তাঁকে তরিঘড়ি পোস্টমর্টেম এর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জোড়াসাঁকো থানার তত্ত্ববধানে পোস্টমর্টেমও করা হয়। হাসপাতালের বাইরে বিপুল পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়ে ছিল।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক, কিন্তু ঠিক কীভাবে মৃত্যু তা পরে বোঝা যাবে। মৃত্যুর কারণ জানতে হলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া অব্দি অপেক্ষা করতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে, জানেই না পরিবার। পুলিশের কাছেও কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে পরিবার চাইলে একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলেন তিনি’।

মিদ্দার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করার পর মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য প্রশ্ন করলেন, “মিদ্দা আদৌ কি ওইদিন আন্দোলনে ছিলেন?” DYFI নেতার মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ, একথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ওইদিন মা কিচেন’ প্রকল্পের উদ্বোধনে ব্যাস্ত ছিলেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রীকে মিদ্দার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। দুঃখ প্রকাশও করেছি। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের।

তিনি আরও বললেন, কোনও সাহায্যই সেই দুঃখ লাঘব করতে পারে না। তবু তাঁর পরিবার চাইলে একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে”।
হাসপাতালের সামনে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে SFI এর জেলা কমিটির এক সদস্যের কথাতে জানা যায় যে এর আগেও বিভিন্ন স্থানে নিহত বামকর্মীর দেহ পুলিশ নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই তাঁদের দাবী, মৃত বাম যুবকর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দ্যার মৃতদেহের দায়িত্ব তাঁরাই নিতে পারবে।

আর ভবিষ্যতে পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নিতে চলছে। প্রয়োজনে তাঁরা বড়ো আন্দোলনে নামতে পারেন বলে জানা যায়।
সামনেই একুশের ভোট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের হাঁসি চওড়া হতে থাকে। ফলে প্রতিবাদের আবহে ওঠে নিন্দার ঝড়। বিরোধী মহলে চলা বাঁকা হাসির আড়ালে এই কথাটাই স্পষ্ট যে, করোনাকালীন যে বেকারত্ব কিম্বা শিল্পের অভাবে যে বেকারত্ব বর্তমানে স্থায়িত্ব লাভ করেছে, তার জন্য মৃত আন্দলনকারীর পরিবারের যে কোনো সদস্যই চাকরির যোগ্য হবে। এর বাইরে রাজ্য সরকার চাকরির দিতে ব্যর্থ।

Advertisements

Leave a Reply