কলকাতার রাস্তায় এবার প্রেসের গাড়ির সাথে দুর্ব্যবহার পাবলিক সার্ভেন্টের, মাক্স ছাড়াই তিনি কর্তব্যরত

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের পেজ খুললেই দেখা যায় কিছু দায়িত্ববান কর্তব্যনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের কথা। কলকাতাবাসী গর্বিত কলকাতা পুলিশকে নিয়ে। কড়া লকডাউনেও নাগরিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ছন্দ পতন ঘটলো বেশকিছু ঘন্টা আগে। কলকাতার রাস্তায় এবার প্রেসের গাড়ির সাথে দুর্ব্যবহার পাবলিক সার্ভেন্টের, মাক্স ছাড়াই তিনি কর্তব্যরত।

ঘটনার সুত্রপাত পার্ক সার্কাস চার নম্বর ব্রিজের আগের মােড়ে, যেখানে ট্রাফিক পুলিশের অন্যায়ের শিকার হতে হল একটি সংবাদ মাধ্যমের গাড়িকেই। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে শুধুই কবিই ছিলেন তা নয়, তার প্রমান হলো আজকের ঘটনা। তিনি ভবিষ্যৎবক্তাও ছিলেন। তাই হয় তো তিনি লিখে গেছিলেন, “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে”— এই বহু গুন সম্পন্ন পুলিশ নামক উর্দিধারী মানুষগুলি কিন্তু আবার শক্তের ভক্ত নরমের যম।

তাই দেখা যায় কর্তব্যরত পুলিশকে ফাইল দিয়ে মুখ লুকাতে, দেখা যায় ভয়ে টেবিলের তলায় ঢুকে যেতে, সমাজবিরােধীকে সেলাম করতেও দেখেছি আমরা, আর দেখি ট্রাফিক সিগন্যালের নীচে হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকতে। মােটরবাইক, সব রকম গাড়ি, লরি ধরার জন্য তাঁরা ব্যবহার করেন ব্যারিকেড নামক এক প্রহসন। প্রহসন বললাম তার কারণ, সেটা এমন ভাবেই রাখা থাকে যে দেখে বােঝার উপায় নেই রাস্তাটি বন্ধ নাকি খোলা।

ভুলের বসে রাস্তা খােলা ভেবে যদি কোনও গাড়ি চলে যায় তবে কর্তব্যনিষ্ঠ দায়িত্ব বিশিষ্ট পুলিশ অফিসাররা দৌড়ে আসেন, যেন চোর ধরতে। আর যথারীতি আইনভঙ্গকারী হিসাবে গাড়ির মালিককে কেস দিতে তৎপর হন তাঁরা। না হলে অল্প টাকার গল্পটা তো সবারই জানা। ঠিক এই ভাবেই এদিন একটি সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি আটকানাের পর জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন অপরাধে জরিমানা নেওয়া হচ্ছে।

হয়তো আইনের কোনো ধারাতে সেটাও বলা বা জানানো বারন, তাই হয়ে তো একটু কুণ্ঠা বোধ করছিলেন ট্রাফিক গার্ড সুব্রত বিশ্বাস। তার সাফাই “তার চাকরিটা আমরা দিইনি, মানে পাবলিক”৷ কিন্তু সমাজে পুলিশ সরকারি কর্মচারী হলেও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবেই বেশি পরিচিত মুখ। এতেও ক্ষান্ত হয়নি, প্রেসের স্টিকার আটকানাে গাড়িতে যাত্রী নাকি দিনে দুপুরে মাদকাশক্তও থাকতে পারেন বলেও অভিযােগ করেন সুব্রত বিশ্বাস।

এটা মিডিয়ার গাড়ি এবং এতে মিডিয়ার কর্মী রয়েছেন সে কথা জানার পরও সুব্রতবাবু বেশ গর্ব সহকারেই বলে ফেললেন, তিনি মিডিয়াকে মানেন না। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কোভিডের কারনে বারংবার সচেতন করা এবং মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করা সত্তেও অনডিউটিতেও সুব্রত বিশ্বাস মুখে মাক্স পরে ছিলেন না। সামান্য কোভিড সচেতনতা যে সরকারীকর্মীর জানা নেই, তিনি যে মিডিয়ার কর্ম সম্মন্ধে সচেতন হবেন না এটাই কাম্য।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply