মধ্যমগ্রামে ত্রয়ী প্রার্থীর সমর্থনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রথীন ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, মধ্যমগ্রাম ঃ আর বাকি মাত্র কয়েকটি দিন। সামনেই ২৭ তারিখ পুরভোট৷ দিকে দিকে প্রচার তুঙ্গে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের। এমতাবস্থায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনীত প্রার্থী সুভাষ ব্যানার্জির সমর্থনে কোভিডের মতো ভাইরাসকে উপেক্ষা করে পথ সভা করে গেলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী রথীন ঘোষ, সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ দলের অগুনতি কর্মী- সমর্থকগন।
যদিও বা বেশীর ভাগ মানুষের মুখেই মাক্স দেখা যায় এদিন। প্রচার শুরুর আগেই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনীত প্রার্থী রবীন্দ্র নগরে শনি মন্দিরের সামনে থেকে পুজো দিয়ে শুরু করেছিলেন তাঁর প্রথম প্রচারকার্য। সুভাষ ব্যানার্জির অর্থাৎ বাচ্চা-বুড়ো সবার প্রিয় ভুতো দার সমর্থনে সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মানুষটিকে প্রার্থী করে পাঠিয়েছেন। যে মানুষটি অকৃতদার, যে মানুষটি দিন নেই রাত নেই সারাক্ষন মানুষের কাজে নিজেকে নিয়জিত রাখে।
দিন হোক বা মধ্যরাত, এক ডাকেই আপনাদের সুভাষ ব্যানার্জি অর্থাৎ ভুতোদার মত একজন প্রকৃত সমাজসেবীকে পাশে পান। আর সেই জন্য আপনাদের অনুরোধ করতে এসেছি, ২৭ তারিখে আপনারা সকাল সকাল ভুতো দাকে ভোট দিন। এদের ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া।” বেশকিছু দিন আগে প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনিত আট নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা মধ্যমগ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ ব্যানার্জি বলেছিলেন যে “মধ্যমগ্রাম পৌর নির্বাচনের টিএমসির বিপক্ষ কেউ আছে বলে জানি না।
বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা অনেক লাফালাফি করেছিল। আমার মনে হয় তৃণমূল কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বাংলার মানুষ আর কাউকে ভোট দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ধরনের উন্নয়ণমূলক কাজ, মানুষের মনে মমতা ব্যানার্জি যে ভাবে জায়গা করে নিয়েছেন, বাড়তি অন্য কোনো দলের চিন্তা মানুষের মনে আছে বলে আমার মনে হয় না৷” এরপর খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী রথীন ঘোষ ৮নং ওয়ার্ডের প্রার্থী সুভাষ ব্যানার্জি, ৭ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী পঙ্কজ চন্দ, ও ৯নং ওয়ার্ডের প্রার্থী সুমিতা ঘোষের সমর্থনে বলেন, ” আমাদের এই তিনজন প্রার্থীর সমর্থনে আমরা এখানে এসেছি।
আগামী ২৭ তারিখ পুরনির্বাচন। আমাদের আর একটা ওভার বাকি। আমাদের যাঁরা বিরোধিতা করছেন তাঁরা কাস্তে হাতুড়ি তারা। আর তাঁরা ইতিমধ্যেই বাংলা ছাড়া। তাদের কোনো বিধায়ক বাংলাতে নেই, আর পদ্ম ফুলের বাড়াবাড়ির কথা আপনারা জানেনই। আমরা শুধু আপনাদের মনে থাকতে চাইছি। আমরা গঙ্গার জল পরিশ্রুত করে পানীয় জলের ব্যাবস্থা করেছি। এখানে যে জল জমে আশা করছি আগামী বছর আর সেই জল জমবে না। এদের আপনারা জিতিয়ে আনুন। আর উন্নয়নের দায়িত্ব আমার। এটুকু বিশ্বাস রাখতে পারেন।”
এরপর রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী সুভাষ ব্যানার্জি, পঙ্কজ চন্দ, ও সুমিতা ঘোষের সমর্থনে বলেন, “এরা আমাকে এখানে টেনে আনলেন ঠিকই৷ প্রতিদিন প্রতি জেলায় ঘুরতেও হচ্ছে। কিন্তু আমি তো এখানে কোথায় দূরবীন দিয়েও বিরোধীদের খুঁজে পাচ্ছি না৷ কোথাও কোথাও ২% বা ৫% ভোট পাচ্ছে। তবুও বগার মতো বলছে আমি কিন্তু জিতবো৷ আমার একটাই আবেদন আপনাদের কাছে, সুভাষ তো জিতবেই, পঙ্কজ তো জিতবেই সুনিতাকেও এবারে জেতাতে হবে আপনাদের”। অন্যদিকে আমতার ছাত্র নেতা নিহত আনিস খানের রহস্য মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
মৃত্যুর কিনারা করতে গত সোমবার দুপুরেই সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “যে সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করে কাজ শুরু করেছেন কিছু বাতিল হওয়া নেতা, তাঁদের জেনে রাখা উচিত যে সেই সম্প্রদায়ই শুধু নয়, বাংলার মানুষকে যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগলে রেখেছেন তাঁর থেকে বড় বন্ধু বাংলাতে আর নেই”। ইতিমধ্যে আমতা থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সুত্রের খবর।
সিটের দুই শীর্ষ আধিকারিক ডিআইজি সিআইডি অপারেশন মিরাজ খালিদ এবং বারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘটনার রাতে যাঁরা থানায় ছিলেন, সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপরই সাসপেন্ড করা হয় এএসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম ও হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। যেদিন আনিসকে হত্যা করা হয়, সেদিনই ছাত্রনেতার বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া তিন পুলিশ কর্মীর ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে তদন্তকারীদের মনে!