ফের একবার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, একই লাইনে কি ভাবে ঢুকলো দুটি ট্রেন? ঠিক কি ঘটেছিল দূর্ঘটনার সময়?
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ নিউজ : ২০২৩ সালের ২রা জুন উড়িষ্যার বালাসরে (Balasore) একটি মালবাহী রেল, ১২৮৪১ করমন্ডল এক্সপ্রেস ও ১২৮৬৪ বেঙ্গালুরু-হাওড়া এসএফ এক্সপ্রেস নামক ৩টি ট্রেনের এক সাথে প্রায় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ২৮৯ জন নিহত এবং ৯০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিলো, যা ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক রেল দুর্ঘটনার মধ্যে একটিতে পরিণত হয়। এবার সেই মর্মান্তিক দূর্ঘটনার স্মৃতিকে ফের উস্কে দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
কয়েক বছর পরে নাকি এই রেলপথেই ছুটবে বুলেট ট্রেন (Bullet train)। কিন্তু আদৌ কী আমাদের দেশের বুলেট ট্রেন চলার জন্য সুরক্ষিত এই রেলপথ? সোমবার শিলিগুড়ির রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর সেই প্রশ্নকে আরও একবার উস্কে দিল। কার গাফিলতিতে বার বার এই ধরনের মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে? দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashini Vaishnav) দাবি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরেই দূর্ঘটনার কারণ বলা সম্ভব। ঘটনায় ১৮ জন মৃত, শতাধিক যাত্রী গুরুতর আহত। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা, এখনও উদ্ধার কাজ অব্যাহত।
কিন্তু তার আগেই দিনভর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে নানা তথ্য। কখনও দায়ী করা হয়েছে সিগন্যালিং ব্যবস্থাকে, আবার কখনও দায়ী করা হয়েছে মালগাড়ির মৃত চালককে। তবে রেলের একটি সূত্র থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এই ঘটনায় দায় থাকতে পারে স্টেশন মাস্টারেরও। কারণ, ওই রেলপথের একটা অংশে অটোমেটিক সিগন্যাল (Automatic Signal) ঠিক ছিল না বলেই জানা গেছে। তারপরও কি ভাবে একই লাইনে দু দুটি গাড়িকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো? উঠছে এমনই হাজারো প্রশ্ন—
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এরপরেও ওই ট্র্যাকে কী ভাবে মালগাড়ি যাওয়ার পারমিশন পেলো, যেখানে আগে থেকেই শিয়ালদহমুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjangha Express) দাঁড়িয়ে ছিল। যদিও রেল বোর্ডের দাবি, এক্ষেত্রে সিগন্যাল মানেনি ওই মালগাড়িটি। তার জেরেই রাঙাপানিতে এদিনের এই দুর্ঘটনা বলেই দাবি রেল মন্ত্রকের। আবার এটাও শোনা যাচ্ছে যে মালগাড়ির ব্রেক নাকি ফেল (break fail) ছিল।
তাই সিগনাল ব্রেক করে বেড়িয়ে যায় মালগাড়িটি এবং ওই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনের বগিতে সজোরে ধাক্কা মারে। মালগাড়ির ইঞ্জিন এক্সপ্রেসের ছাদে উঠে যায়, আর এক্সপ্রেসের পিছনের ২টি যাত্রী বোঝাই বগি ও ২টি মালবাহী বগি মুহুর্তে ছিটকে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়। ৪টে বগিই সম্পুর্ন দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। বগির ভিতরে থাকা যাত্রীদের অবস্থা শোচনীয়, কেউ কেউ ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর মুখে ঢোলে পরে (Spot Deaded)।