শ্বাসনালীতে দুধ আটকে মৃত্যু হলো এক সদ্যোজাত শিশুর, অভিযোগের তীর ইভল্যান্ড নার্সিংহোমের দিকে

0

HnExpress ৫ই ফেব্রুয়ারী, পাপাই সরকার, পূর্ব বর্ধমান ঃ সদ্যোজাতকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে শ্বাসনালীতে সেই দুধ আটকে মৃত্যু হল সেই শিশুর। ঘটনার পর পূর্ব বর্ধমানের কালনার বৈদ্যপুর মোড়ের ইভল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুর পরিবার। কালনার সমুদ্রগড় এর বাসিন্দা তৃষিতা দত্ত হালদার গত ৩১ শে জানুয়ারি কালনার ইভল্যান্ড নার্সিংহোমে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। মৃত্যুর সময় সুস্থ সবল সেই সদ্যোজাতের বয়স ছিল মাত্র ৫ দিন।

আর সেই বাচ্চাকে গতকাল ওই নার্সিংহোমেরই এক কর্মরত আয়া ৫ দিনের শিশুকে দুধ খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায়, আর কোলে শুইয়ে সেই একরত্তি শিশুকে এক সাথে অনেকটা দুধ খাওয়ানোর সময় তা শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মারা যায় সদ্যোজাত শিশুটি। আর তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী সহ ওই শিশুর পরিবার। এরপরই সেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে কালনা থানায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত শিশুর পরিবার। সারা পূর্ব বর্ধমান উত্তাল এর জেরে।

তাদের অভিযোগ, নিজেদের মোটা মুনাফার জন্য ট্রেন্ড নার্সের পরিবর্তে কম পয়সায় উপযুক্ত ট্রেনিং ছাড়াই আয়া নিযুক্ত করা হয় এই বেসরকারি নার্সিংহোমে। আর সেই কারণেই আয়ার অদক্ষতা ও গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তাদের সদ্যোজাত শিশুর, এমনটাই দাবি করেছেন তারা। আর তারপরই বুধবার সকাল বেলায় সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত শিশুর পরিবার।

তাদের আরও অভিযোগ যে, ওই শিশুকে সময় মত নিয়ে গিয়ে দুধ খাওয়ানো হচ্ছিল। আর চিকিৎসা বিদ্যা অনুযায়ী দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে পুরোপুরি শুয়ে রাখা উচিত নয়, বরং শরীরের তুলনায় মুখ ওপরের দিকে থাকার কথা। তাছাড়া সদ্যোজাতের মুখে চামচ দিয়েই একটু একটু করে দুধ দেওয়ার নিয়ম।

কিন্তু অপ্রশিক্ষিত আয়াটি তা না করে কোলে শোওয়ানো অবস্থায় মুখে বেশি পরিমাণ দুধ ঢেলে দেওয়ায় এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে যায়। এক সাথে অতটা দুধ সদ্যোজাত ওই শিশুটি গিলতে পারে না৷ উল্টে দুধ নাক মুখ দিয়ে ঢুকে শ্বাসনালীতে গিয়ে আটকে যায়। আর তাতেই দম আটকে মৃত্যু হয় শিশুটির। যদিও এ বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে নারাজ, এমনকি নার্সিংহোমে গিয়েও তাদের দেখা পাওয়া যায় নি। বলা ভালো, দেখা করা তো দূর বরং তারা যেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply