বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই বাড়ছে করোনার নতুন সংক্রমণ—
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ সূয্যিমামার প্রখর তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথেই বাড়ছে করোনার নতুন সংক্রমন। তো তাতে কি হয়েছে, সামনেই তো ২১ এর বিধানসভা সভা ভোট। মুখ, নাক না ঢেকেই চলছে রাজনৈতিক সভা, মিছিল, জমায়েত। বাদ নেই অনুষ্ঠান বাড়ির জমায়েতও। যার ফলে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের কথা, বেশীর ভাগ মানুষই এই সর্তক বার্তা কানেই নিচ্ছে না।
এদিকে, সংক্রমণের হার ১.৩৫ শতাংশ থেকে গত মঙ্গলবার বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ১.৭৮ শতাংশে। রাজ্যের ২৩টি জেলায় করোনা সংক্রমণের গতিবিধি বুঝতে পেরে একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যভবন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৯টি জেলার নীচেই রয়েছে লাল কালির বিপদ চিহ্ন। বাংলায় ১৫ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে ১৯টি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হতে চলেছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউতে কি মারাত্মক পরিস্থিতি হতে পারে তার গুরুত্ব জেনেও কিন্তু অনেকেই নিয়ম ভাঙছে।
কলকাতায় গত ১৫-২১শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ২.০৯ শতাংশ। এরপর গত ১৫-২১শে মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে ৩.০৪ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ১৫-২১ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১.৪১ শতাংশ। ১৫-২১ মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৫৭ শতাংশ। পশ্চিম বর্ধমানে গত ১৫-২১শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.০০ শতাংশ। ১৫-২১ মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে ২.৯০ শতাংশ হয়েছে।
হাওড়াতে ১৫-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১.২২ শতাংশ। ১৫-২১শে মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ২.৫৩ শতাংশ। আর হুগলিতে ১৫-২১শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে ১.৪২ শতাংশ। ১৫-২১ শে মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ২.২৭ শতাংশ। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানিয়েছে, গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন স্ট্রেন ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের শরীরে করােনার এই নয়া প্রজাতির হদিশ মিলেছে। দেশ জুড়ে কোভিড টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরও বেশি হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের হারের নিরিখে এখন ১ম নম্বরে রয়েছে কলকাতা, ২য় নম্বরে পশ্চিম বর্ধমান, ৩য় নম্বরে উত্তর ২৪ পরগনা, ৪র্থ এবং ৫ম নম্বরে হাওড়া ও হুগলি। স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সবকটি হাসপাতালকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে।