কঙ্গনাকে চড় কাণ্ডে অভিযুক্তের পাশে সুরকার বিশাল দাদলানি
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, পাঞ্জাব : মাণ্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে BJP-র টিকিটে জয়ী হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranawat)। সাংসদে শপথ নেওয়ার আগেই শুরু হয়ে গেলো নয়া বিতর্ক। যদিও কঙ্গনা বরাবরই নিজেকে বিতর্কিত ব্যাপারে জড়াতে বিশেষ পছন্দ করেন। এদিন পাঞ্জাবের চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে তাঁকে চড় মারেন কর্তব্যরত CISF মহিলা জওয়ান কুলবিন্দর কউর। ঘটনার ভিডিয়ো দাবানলের মত মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় যায় নেট পাড়ায়। কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মারার ঘটনায় উত্তাল দেশ। তবে কেউ কেউ পক্ষে আবার অনেকেই বিপক্ষে।
কেউ কঙ্গনার হয়ে সাফাই দিয়েছেন, তো কেউ আবার CISF জওয়ানকে সমর্থন করছেন। এদিকে এই পরিস্থিতিতে কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলিউডের প্রতি অভিমানের সুরে ইনস্টা স্টোরিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যার সারমর্ম হলো এরকম, “তাঁকে চড় মারার ঘটনায় নীরব থাকলেও ইজরায়েলি বা প্যালেস্তিনীয় আপনাকে এবং আপনার সন্তানদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে তপ্ততার জন্য আজকের দিনটা মনে রাখা প্রয়োজন।” অন্যদিকে এই তপ্ত পরিস্থিতিতে একেবারে উলটো সুরে কথা বললেন বলিউডের গায়ক তথা সুরকার বিশাল দাদলানি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, CISF জওয়ান কুলবিন্দর কউরের দাবি, অতীতে কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে কঙ্গনার অবমাননাকর নোংরা মন্তব্যের জেরেই তাঁকে চড় মেরেছেন তিনি। ঘটনার পরই মুখ খুলেছেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাওয়াত। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে নব নির্বাচিত সাংসদ জানান, ‘ঘটনার পর থেকেই মিডিয়া এবং শুভানুধ্যায়ীদের অনেক ফোন পাচ্ছি। সকলকে জানাচ্ছি, আমি নিরাপদেই রয়েছি। সুস্থ রয়েছি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় এই ঘটনাটি ঘটে যায়। চেকিংয়ের পর দ্বিতীয় কেবিনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা জওয়ান আমায় থাপ্পড় মারেন।
অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে শুরু করেন।’ কঙ্গনা আরো সংযোজন করে বলেন, ‘আমি প্রশ্ন করি, এমনটা কেন করলেন তিনি? উত্তরে তিনি নিজেকে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনকারী বলেন উল্লেখ করেন। আমি নিরাপদ কিন্তু, পঞ্জাবে বাড়তে থাকা এই সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রপন্থা বিষয়টা নিতান্তই দু:শ্চিতার কারণ।’ বলিউডের এই বিশিষ্ট সুরকার সমাজ মাধ্যমের পেজে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার জেরে যদি জওয়ান তাঁর চাকরি হারায় তাহলে তাকে কাজ দেওয়ার দায়িত্ব আমার।
বিমানবন্দরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বিশাল দাদলানি লিখেছেন, ‘আমি কোনও রকম হিংসাকে সমর্থন করি না। যদিও নিরাপত্তারক্ষীর রাগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে, যা আমি বুঝতে পারছি। সিআইএসএফ-এর তরফে কুলবিন্দর কউরের প্রতি কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হলে অর্থাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলে তাঁর জন্য চাকরি অপেক্ষা করবে। এটা আমি আশ্বস্ত করছি। তবে অবশ্য যদি সেই চাকরির প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করেন।’ পোস্ট শেষে স্লোগান দিয়ে লিখেছেন, “জয় হিন্দ, জয় জওয়ান, জয় কিসান।”