বিধায়ক শুনলেন বারাসাত মহকুমার সাংবাদিকদের সুখ-দুঃখের কথা, দিলেন তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস

0

HnExpress ১২ই মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি, মধ্যমগ্রাম ঃ মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের মাননীয় বিধায়ক তথা পৌরপ্রধান রথীন ঘোষ মহাশয়ের উদ্যোগে আজ মাইকেলনগর ২৮ নং ওয়ার্ডে “বাংলার গর্ব মমতা” শীর্ষক আলোচনা সভায় ‘জলযোগে যোগাযোগ’ কর্মসুচি পালিত হল জেলাস্তরের সকল সাংবাদিকদের নিয়ে। আজকে এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিধায়ক শুনলেন বারাসাত মহকুমার সাংবাদিকদের সুখ-দুঃখের কথা, সাথে দিলেন তাদের সবরকম নিরাপত্তার আশ্বাস।

 

 

তিনি বললেন, আগামীতে আমার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে সাংবাদিকদের সবরকম ভাবেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। আজ মূলত সাংবাদিকদের অভাব অভিযোগের বিষয় জানতে ও তাদের সাথে এক মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই “জলযোগে যোগাযোগ” কর্মসূচির সূত্রপাত। মধ্যমগ্রাম বিধানসভার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার আরও বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়করা আজ এই কর্মসূচি পালন করেন।

 

 

বস্তুতঃ, আজ সাংবাদিকদের বিধায়কের দেওয়া এই নিরাপত্তার আশ্বাসবাণী সাংবাদিকদের মনবলবৃদ্ধিতে সাহস জাগালো অনেকাংশে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যমগ্রামের এক প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে কথোপকথন হয়। আজ তারই ফল স্বরূপ সেই আশ্বাস বাণী দিলেন মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রথীন ঘোষ।

 

 

প্রসঙ্গত, সাংবাদিকতা হলো গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর সাংবাদিক হলেন একজন সত্যান্বেষী। কিন্তু সেই সত্য অন্বেষণ করে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়েই কর্মক্ষেত্রে নানানভাবে হেনস্তা হতে হচ্ছে সাংবাদিকদের, কোথাও জুটছে মারধোর, আবার কেউবা হচ্ছেন খুন। আর সংবাদমাধ্যম এর কর্মীদের না আছে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা, না কোনো সরকারি সহায়তা, না আছে কোনো সরকারি জীবনবিমা পলিসির কভারেজ।

 

 

অথচ এই সংবাদ পরিবেশন এর ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকের জীবনের ঝুঁকি দেশের সেনা, পুলিশ, বা বিএসএফ জওয়ানদের থেকে কোনো অংশেই কম নয়। বরং কর্মসুত্রে অনেক বেশি বলিদান দিতে হয় সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের। গত তিন বছরে কর্মরত অবস্থায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত মধ্যমগ্রাম, বারাসাতের বহু সাংবাদিক মারধোর খেয়েছেন দুষ্কৃতীদের হাতে।

 

 

আর হয়তো সেই কথা চিন্তা করেই তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দিলেন তিনি। আর ‘বাংলার গর্ব মমতা’র বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বললেন, এ যাবৎ তৃণমূল কংগ্রেসের জামানায় বাংলায় এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। আর সেই জোয়ার এসেছে মমতাময়ীর হাত ধরেই। তাই সেই উন্নয়নের নিরিখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকৃতই আজ বাংলার গর্ব রূপে পরিচিত।

 

 

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply