বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় বছর ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, উঠলো সহবাসের অভিযোগও
HnExpress ৩রা জুলাই, সুদীপ ঘোষ, নদীয়া ঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় বছর ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং সহবাসেরও অভিযোগ উঠল। কিন্তু এতকিছুর পরেও বিয়ে করতে অস্বীকার যুবকের, ফলে তার বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসল যুবতী। এ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বাসডোপ এলাকায়। সূত্রের খবর, নদিয়ার শান্তিপুর থানার আরবান্দি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসডোপ গ্রামের বাসিন্দা অমিত মন্ডল।
বছর দেড়েক আগে তিনি কলকাতারই একটি পানশালায় কাজে যান। সেখানেই কাজ করতেন ওই যুবতীও। যুবতীর সাথে আলাপ হয় সেখান থেকেই, আর তারপর তাদের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপরই যুবতীর অভিযোগ আসে, তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সহবাস করতে বাধ্য করা হয়। যুবতীর আরও অভিযোগ, সেখানে একটি মন্দিরে তাঁকে বিয়েও নাকি করা হয়।
কিন্তু তারপর তাঁকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যেতে বললেই অস্বীকার করে ওই যুবক। দীর্ঘদিন এইভাবে চলার পর অভিযুক্ত অমিত মন্ডল যুবতীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। তখনই ওই যুবতী নিরুপায় হয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে কোনো সুরাহার আশ্বাস না পেয়ে অবশেষে ওই যুবকের বাড়ির সামনেই ধর্ণায় বসে যুবতী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
যদিও সে সময় বাড়ি থেকে পলাতক অভিযুক্ত অমিত মন্ডল। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় ও গ্রামবাসীদের চাপে সেই যুবতীটিকে বাড়িতে তুলতে স্বীকার করে তার পরিবারের লোকজন। যুবতীর সাফ কথা, তাঁকে বিয়ে করা হয়েছিল। এমনকি সহবাসের পর তার পেটে বাচ্চাও চলে এসেছিল এবং সেই বাচ্চাকে গর্ভাবস্থায় দু’বার নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ যুবতীর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।