আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উল্কাবৃষ্টির সম্ভাবনা পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে

0

আচমকাই ধেয়ে আসতে পারে ১৫ থেকে ২০০টির মত উল্কা।



HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ পৃথিবী হল বিভিন্ন মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডের মহা যজ্ঞস্থল। নানান অদ্ভুত আর অলৌকিক শক্তির দ্বারা আবৃত ঈশ্বর সৃষ্ট গোটা জগৎ সংসার। যার মধ্যে বিশেষ আকর্ষণীয় ঘটনাটি হল উল্কাবৃষ্টি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এ বছরেও প্রায় দিন তিনেক ধরে দেখা যাবে এমনই এক অতি মহাজাগতিক দৃশ্য। যা হলো পেরসেইড মেটিওর শাওয়ার, যাকে উল্কাবৃষ্টিও বলা হয়।

জানা গেছে, আগামী ১১, ১২ এবং ১৩ই অগস্ট রাতের আকাশে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের বাসিন্দারা এই অবিস্মরণীয় দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। আর এই অদ্ভুত দৃশ্য নাকি খালি চোখেই দেখা যাবে বলে জানা গেছে। আচমকাই ১৫ থেকে ২০০টির মত উল্কা একসঙ্গে ধেয়ে আসতে পারে। এই উল্কাবৃষ্টি মহাকাশের বুকে এক অন্যতম উজ্জ্বল আলোক সজ্জা বা রোশনাইতে পরিণত হবে, যা বলাই বাহুল্য।



আর বেশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই উল্কাবৃষ্টি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্কা সাধারণত রাতের আকাশেই তারা বা নক্ষত্রদের ন্যায় জ্বলজ্বল করে। প্রতি বছরই এই মেটিওর শাওয়ারের সময় একটা ধূলিকণা মিশ্রিত লেজের মতো দেখতে অংশ বা পথ সৃষ্টি করে এইসব উল্কারা। আর পৃথিবী যখন এই সময় উল্কার সেই ডেব্রিস ফিল্ড বা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে যায় তখন এই লেজটি দৃশ্যমান হয়।

উল্কা বৃষ্টি হচ্ছে এক ধরনের আকাশ সম্বন্ধীয় ঘটনা, যার ফলে মহাকাশ থেকে অনেক উল্কা এসে পৃথিবীর মাটিতে আছড়ে পড়ে অথবা তা মাটিতে পতিত হওয়ার আগেই মিলিয়ে যায়। উল্কা বৃষ্টি প্রধানত রাতের আকাশেই দেখা যায়। উল্কা বৃষ্টি হয়, কারণ মহাকাশে যখন কোনো ধুমকেতুর বিস্ফোরণ ঘটে, ঠিক তখন তার ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বলের প্রভাবে পৃথিবীর পৃষ্ঠের দিকে আসতে থাকে।

আর এর ফলেই পৃথিবী থেকে তা উল্কা বৃষ্টি হিসেবে দেখা যায়। অস্বাভাবিক উল্কা বৃষ্টি উল্কা ঝড় নামেও পরিচিত, যার প্রভাবে ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি উল্কা পৃথিবীতে এসে পড়তে পারে। তবে বেশির ভাগ উল্কা বৃষ্টিই শস্য দানার চেয়েও ছোটো হয়। যা ভূপৃষ্ঠে আসার আগেই বিলীন হয়ে যায়।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply