শ্রদ্ধায় স্মরণে মহাত্মা গান্ধী
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা ঃ দেড়শ বছর বাদেও মহাত্মা গান্ধী রীতিমত প্রাসঙ্গিক। বুধবার এই মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী। তাঁর মতে, জীবনভর নিজের কাজের মাধ্যমে ‘মহাত্মা’ কথাটির যথার্থতা প্রমাণ করেছেন। এ দিন কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা স্থানে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় বাপুজী মহাত্মা গান্ধীকে।
ভারত সভা হলে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০-তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনায় অংশ নিলেন বাসববাবু। ছিলেন ঐতিহাসিক রঞ্জিত সেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বরিষ্ঠ শিক্ষক তপন কুমার চট্টোপাধ্যায় ও প্রভাত দত্ত, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুস্বাগত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
আজ তাঁর সার্ধশতজন্মদিবস উপলক্ষ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা স্থানে নানা জায়গায় জায়গায় তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আয়োজিত হয় আলোচনাসভা, প্রদর্শনী। বারাকপুরের গান্ধীঘাটে আজ গান্ধীজীকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এর পর মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তিতেও শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও।
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আমাদের এবছরের পুজো পরিক্রমা ২০১৯, যারা যারা আমাদের সাথে পার্টনার ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।
বেলেঘাটায় গান্ধী ভবনেও এদিন এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৯৪৭ সালের দাঙ্গার সময় শান্তি ফেরানোর দাবিতে এই বাড়িতেই নাকি অনশনে বসেছিলেন মহাত্মাজী। এ দিন এখানে গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের চার মন্ত্রী, যথা— সাধন পান্ডে, পূর্নেন্দু বসু, শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু।
প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে এক পদযাত্রা শুরু হয়। এর পর মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তিতে একটি প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গান্ধী জন্মসার্ধশতবর্ষ উদযাপন শুরু করা হয়। ওই দিন উদ্বোধন হয় ‘গান্ধীজী ও অবিভক্ত ভারত’ শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর। আজ ছিল তারই শেষ দিন।
অন্যদিকে ব্যারাকপুরে ‘রামধূন’ পরিবেশন করেন গার্গী ঘোষ। আর ‘মহাত্মা গান্ধী স্মারক বক্তৃতা’-য় থাকবেন রাধারমন চক্রবর্তী, সৈকত মিত্র, সবুজকলি সেন প্রমুখ। শ্রীভূমি-র গান্ধী সেবা সংঘের গান্ধীজীর জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ছিলেন হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী ও পঙ্কজ দত্ত প্রমুখ।