“ডুয়ার্সে আটকে গেলেন মহামায়া “

0

HnExpress অরুণ কুমার, জলপাইগুড়ি ঃ উৎসবের মধ্যে দিয়ে চলেছে উত্তরের গ্রাম বাংলা। বাঙালির বারো মাস তেরো পার্বণের ছোঁয়া আমরা দেখতে পেলাম প্রতিবারের মতো এবছরও। দেবী দুর্গার মর্তে আগমন ও দশমীতে কৈলাশ গমণ। আর এই মহামায়া কৈলাশ গমনের পথে আটকে গেলেন ডুয়ার্সের জঙ্গলে আরও দুদিন — এমনটাই কথিত আছে।

এই উত্তরের অঞ্চলের বন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মহামায়া কৈলাসে ফিরে যাচ্ছিলেন, আর তখন এই অঞ্চলের মানুষ মায়ের পথ আটকে পুজো গ্রহণের জন্য প্রার্থনা করলে দেবী তখন তাদের জানতে চান এর কারণ। গ্রামবাসীরা দেবীকে বলে, পুজো উৎসবের দিনগুলিতে তাদের রাজা-মহারাজা বা জমিদারবাড়ির পুজো প্রাঙ্গনে প্রবেশাধিকার না থাকায় দেবী দর্শনের কোনো সুযোগ থাকে না।

তাই মর্তে এসে পুজো গ্রহণের পর কৈলাসে পথে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের প্রার্থনা দেবী যেন এবারে তাদের পুজো গ্রহণ করে। আর একটি মতে, দেবী কৈলাসে ফিরে যাওয়ার সময় পথ হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয় গ্রামবাসীরা দেবী দূর্গাকে চিনতে পারে উক্ত কারন দেখিয়ে তাদের পুজো গ্রহণ করতে প্রার্থনা জানালে দেবী তাদের ভক্তি দেখে তুষ্ট হন ও দুই দিন আরোও থেকে যান।

অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আমাদের এই বছরের পুজো পরিক্রমা ২০১৯, যারা যারা আমাদের সাথে সহকারী পার্টনার ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।

ত্রিশ্রোতা অববাহিকা অঞ্চলের বর্তমানে তিস্তা- সংকোষ নদীর মাঝখানের জায়গা যাকে বলা ডুয়ার্স, সেই ডুয়ার্স ক্রমশ : শস্য সবুজ শ্যামলা হয়ে ওঠে – বিজয়া দশমীর পর দুদিন ধরে মহামায়া এইভাবে পূজিত হয়ে আসছেন। পুজো উপলক্ষে বসছে মেলা। মানুষদের বিশ্বাস বাপের বাড়ি আরও একদিন অন্যরুপে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন মা দুর্গা।

তাই এই গ্রামে দুর্গার আরেক রূপ ভান্ডানি রূপে পুজিত হন মা দুর্গা। বাপের বাড়ি থেকে ফিরে যাওয়ার পথেই ক্রন্দনরত দুর্গার সাক্ষাৎ পেয়ে ছিলেন এই গ্রামের মানুষেরা। মুলত রাজবংশি সম্প্রদায়ের গ্রামের মানুষেরা এই পুজোয় মেতে ওঠেন। এই পুজোর সময় গ্রামের সব মেয়েরা ও ছেলেরা যে যেখানেই থাকুক তারা তাদের নিজ বাড়িতে ফেরে।

বিসর্জনের পর এখানে বোধন হয় ভান্ডানির। পুজো উপলক্ষে ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম, সংকোষ ভলকা থেকে আরম্ভ করে ফালাকাটা এবং মাথাভাঙ্গা হয়ে ময়নাগুড়ি তিস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত বিভিন্ন জায়গায় মাঠে বসেছে বিশাল মেলা”। এই ভাবে দেবীর পুজোয় উৎসবের আনন্দে সামিল হয়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply