November 14, 2024

“বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” স্লোগান মুক্তির পরেই তা নিয়ে এক সাংবাদিক সন্মেলন করলেন ‘মধ্যমগ্রাম শহর তৃণমুল কংগ্রেস’

0
Advertisements

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, মধ্যমগ্রাম ঃ ২১ এর ভোটে পদ্ম বনাম ঘাসফুলের যুদ্ধে স্লোগানেই ভরসা রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ “কন্যাশ্রী”, “যুবশ্রী”, এমন কি “দুয়ারে সরকার”, “পাড়ায় পাড়ায় সমাধান”, ও স্বাস্থ্য সাথীর মতো প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেয়েও সেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই পালাবদল এর সাথে দলবদলে ব্যাস্ত। এর ফলে “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” এই স্লোগানেই ভরসা রেখে মাঠে নামছেন তাঁরা। এই স্লোগান মুক্তি পাবার পরেই তা নিয়েই মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমুল কংগ্রেস অফিসে অনুষ্ঠিত হলো এক সাংবাদিক সন্মেলন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রীতিমতো কর্পোরেট ধাঁচেই অনুষ্ঠান করে লঞ্চ করা হল এই স্লোগান। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ওব্রায়েন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত নেতৃত্বগন। এরপর বিভিন্ন জেলা, গ্রাম ও শহরে “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” স্লোগান নিয়ে আরম্ভ হয় সাংবাদিক সন্মেলন। যার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো, মানুষের মাঝে এই স্লোগানকে পৌঁছে দেওয়া।

গত বাইশে ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকালে ৪ টায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমুল কংগ্রেসের অফিসে “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” মূলত এই স্লোগানের প্রচারেকে কেন্দ্র করে এক সাংবাদিক সন্মেলন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সুভাষ ব্যানার্জি মতো নেতৃত্ব ও অন্যান্য ব্যাক্তিত্বগন। তিনি বলেন,
বাংলার মেয়ে তাই বাংলাকে চেনেন মমতা, এই স্লোগানের পাশাপাশি মেয়ে এই শব্দটাতেও বেশ জোর দিতে চাইছে তৃণমূল।

সূত্রের খবর, ভোটের আগে উত্তর প্রদেশে নারীসুরক্ষার মতো বিষয়টি বেশ কয়েকবার উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথাতেই৷ সুভাষ ব্যানার্জি এদিন সেই সব বিষয় আলোচনা চলাকালীনই দলত্যাগী কিছু নব্য বিজেপি নেতৃত্বকে কড়া ভাষাতে আক্রমনও করেন। আর এছাড়াও তিনি বলেন, ২১ এ তৃনমূল সরকারই থাকবে। স্লোগান লঞ্চের অনুষ্ঠানের দিনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এই বাংলার সাথে মাটির টান আছে। আছে আত্মিক যোগাযোগ। তার হাত ধরেই নেত্রী বিগত এক দশকে বাংলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিতে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছেন সকলে। খাদ্যসাথী প্রকল্পে সাহায্য পেয়েছে মানুষ। আর গ্রাম বাংলার সামগ্রিক পট পরিবর্তনে বাংলার গরিমা রক্ষা করেছেন তিনি একজন অভিভাবক হিসাবে। সকলের খবর রেখেছেন। বাংলার মাটির কথা একমাত্র তিনিই বোঝেন। তাই বাংলার মেয়েকে আবারও বাংলায় চাই। আশা করি রাজ্যের সব পরিবারই উপকৃত হয়েছেন। তাই বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”।

এই একই সুরে কাকলী ঘোষ দস্তিদার বলেন, “বাংলার মাটিকে চেনেন উনি। মানুষের অগাধ বিশ্বাস আছে ওঁর ওপর। নারীবিদ্বেষী বর্গীরা কোনওভাবে আক্রমণ করতে পারবেন না। উনি সারা জীবন আপোষহীন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তাই বাংলার মেয়েকেই চায় মানুষ, কারণ মমতা বন্দোপাধ্যায় মানুষকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান”। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে অতীতের দিকে ঘুরে দেখলে দেখা যায় একমাত্র মমতা ব্যানার্জির ভোটকালীন স্লোগান যে ভাবে ঘরে ঘরে আলোড়ন তুলেছিল বাম জমানার পতনের আগে, তার নজির দেশে খুবই কম। এখন এটাই দেখার ২১ এর ভোটে এই স্লোগান ঠিক কতোটা সফলতা আনবে।

Advertisements

Leave a Reply