ফেসবুকে প্রেম প্রণয় বেহালা- কুচবিহার এর যুবক যুবতীর, মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে বহাল তবিয়তে চলছিল দুই স্বামীকে নিয়ে সংসার

0

HnExpress ২৫শে অগাস্ট, জয় গুহ, বেহালা ঃ সোশ্যাল মিডিয়ার (Facebook) মাধ্যমে পরিচয়, সেই সূত্রেই প্রেম ও অবশেষে ঘনিষ্ঠ প্রণয় সম্পর্ক। ফেসবুকে প্রেম প্রণয়ে জড়িয়ে গেল বেহালা-কুচবিহার এর যুবক যুবতী। পরে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে বহাল তবিয়তেই চলছিল দুই স্বামীকে নিয়ে সংসার। স্থানীয় সুত্রের খবর, কুচবিহারের এক যুবক পরিতোষ মন্ডলের প্রেমে পরে যুবতী গৃহবধূ সোমা দাস।

বেহালার সোমা দাস ও কুচবিহারের পরিতোষ মন্ডল।

সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার শিশির বাগানে। বিগত বেশ অনেক দিন ধরে ফেসবুকে প্রেমের পর, শেষমেষ ঐ যুবক কুচবিহার থেকে সোজা চলে আসে কলকাতার বেহালার শিশির বাগানে প্রেমিকা সোমা দাসের শ্বশুর বাড়িতে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এই মহিলার ১টি ১৬ বছরের ছেলেও আছে। তা সত্ত্বেও এই ধরনের অবৈধ প্রণয় সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনাকে পাড়ার কেউ মেনে নিতে পারছিল না।

প্রতীকী ছবি।

আরও জানা যাচ্ছে, গত কৌসিকি আমাবস্যার দিনে বাড়ির পাশেই এক মন্দিরে ওই যুবক এই বিবাহিত মহিলাকে বিয়েও করে এবং সেই দুই স্বামীকে নিয়ে সোমা এক বাড়িতে থাকতেও শুরু করেন বলে দাবি পাড়া প্রতিবেশীর। আরও অভিযোগ, এই অবৈধ বিয়ের পরেও আবার সেখানে পরিতোষ সোমার আগের স্বামীর উপর প্রবল অত্যাচার শুরু করে। সোমা এবং ওই যুবক জোট বেঁধেই মনোজিৎ দাসের উপর মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

এমনটাই জানা গেছে বেহালা থানায় দায়ের করা মনজিৎ এর এফআইআর থেকে। প্রত্যেক দিনই নাকি চলত প্রথম স্বামীর ওপর অত্যাচার। তারপরই বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে মনোজিৎ বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই স্থানীয় লোকেরা মনোজিৎ-এর উপর অত্যাচার করার সময় এসে কুচবিহারের যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বেহালা থানা থেকে তাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে আবার কুচবিহারে ফেরত পাঠানো হয়।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply