করোনা রুখতে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি সারা বাংলা সহ দেশের ৭৫টি জেলায়, বাতিল করা হল সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেনও
HnExpress ২২শে মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। যা থাবা বসিয়েছে ভারতবর্ষেও। সারা ভারতবাসীর সামনে এখন এক কঠিন পরিস্থিতি ও ধৈর্যের পরীক্ষার সময়। কারণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই করোনা রুখতে আগামীকাল বিকেল ৪টে থেকে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হলো সারা বাংলা সহ দেশের ৭৫টি জেলায়, সাথে বাতিল করা হল সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেনও।
করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৪১, আর মৃতের সংখ্যা হলো ৭। তাই অবিলম্বে এই মারণ রোগের মোকাবিলা করতেই রাজ্য তথা দেশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে লকডাউন থাকলেও চালু থাকবে জরুরিকালীন পরিষেবা। যার আওতায় খোলা থাকছে, হাসপাতাল, মাছ বাজার, সব্জি বাজার, মুদি দোকান, মেডিসিন সপ প্রভৃতি। পাওয়া যাবে দুধ, পাউরুটি, ঔষধ, খাদ্যশস্য।
এরই পাশাপাশি লকডাউনের আওতায় পরছে না জরুরি পরিষেবা কর্মক্ষেত্রের সাথে যুক্ত পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ডাক্তার, নার্স, সেবাকর্মী, সাফাইকর্মী, সাংবাদিক। পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে নিতান্তই জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন। আর এক জায়গায় ৬-৭ এর বেশি গ্যাদারিং করা যাবে না। আজ নাবান্নে জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন রাজ্যবাসীর সুরক্ষার খাতিরে এই লকডাউন এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামীকাল ৪টে থেকে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন পরিস্থিতি। আর এর অন্যথায় হতে পারে জেল পর্যন্ত, সাথে মোটা জরিমানা। অন্যদিকে আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ অনুযায়ী জারি করা একদিনের জনতা কার্ফু ছিল সফল ও সার্থক। কলকাতার জনবহুল এলাকা গুলিও ছিল আজ সম্পূর্ণ ফাঁকা। দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সারা দেশ সহ বাংলার আপামর জনতা সাফল্যের সাথে সাড়া দিল জনতা কার্ফু পালন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে আগামী দুই সপ্তাহ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবে। আর তাই লকডাউনের এর তড়িঘড়ি সিধান্ত। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সাধারণ মানুষকে বার বার সর্তক করা হচ্ছে, তারা যেন অযথা আতংকিত বা ভয় না পায়ে। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে সবার আগে দুরত্ব বজায় রাখুন। একদম বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না, বার বার সাবান বা হ্যান্ড ওয়াসে হাত ধোবেন, আর বাড়িতে নিজেকেই নিজে গৃহ বন্দী করুন, এই চেইনটা ভাঙতে হবে আমাদেরই।