“লেট দেয়ার বি লাভ” — এক মিষ্টি প্রেমের কাহিনী থেকে এক বেদনাতুর সমাপ্তির গল্প
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ “লেট দেয়ার বি লাভ” এক মিষ্টি প্রেমের কাহিনী থেকে এক বেদনাতুর সমাপ্তির গল্পকথা। নীলাদ্রি আর সোনালির ভালবাসায় কানায় কানায় ভর্তি এক মিষ্টি, সুন্দর সংসার। নীলাদ্রির মা, বাবা আর ওরা দুজনে মিলে খুব সুখেই কাটাচ্ছিল ছিল তাদের ছোট্ট সংসারে। এমনকি ওঁদের পরিবারে এক নতুন সদস্য আসার খবরও আনন্দে মাতিয়ে দিয়েছিল গোটা দত্ত পরিবারকে।
কিন্তু সে সুখ বেশিদিন সইল না নীলাদ্রির কপালে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় সোনালিকে। জীবনের চরম এক পরিহাস, তাঁকে মানসিক ভাবে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যায়, যে সোনালির জৈবিক মুক্তি চায় নীলাদ্রি স্বয়ং। হ্যাঁ, Euthanasia করতে চায় ও। এক কথায় যাকে বলে স্বেছা মৃত্যু, যা মার্চ ২০১৮ সাল থেকে ভারতে আইন সিদ্ধ।
কিন্তু কি চরম অবস্থার মধ্যে পড়লে কারুর নিজের আপনজন এটা চাইতে পারে সেটাই এই ছবির মাধ্যমে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে চায় পরিচালক প্রীতম মুখার্জি। এদিন এই ছবির শুভ পোস্টার লঞ্চ হলো কলকাতা প্রেসক্লাবে। পোস্টার লঞ্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক প্রীতম মুখার্জি, পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর চরিত্রে নীলাদ্রি দত্ত অর্থাৎ ছবির নায়ক অনুভব কাঞ্জিলাল, সোনালী দত্তের চরিত্রে হৈমন্তী গাঙ্গুলি সহ নীলাদ্রির মায়ের চরিত্রে অভিনেত্রী পারমিতা মুখার্জি, পারিবারিক ডাক্তারের চরিত্রে অরিন্দম আচার্য্য, উকিল ও নীলের বন্ধুর চরিত্রে জিত ভট্টাচার্য, নায়িকার বান্ধবীর চরিত্রে পৌলমী পাঁজা।
ছবিটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপে দেবারতি ভৌমিক। বিগত দুই বছর যাবৎ গোটা দেশ তথা বিশ্ব করোনা মহামারীর প্রকোপে এক মর্মান্তিক দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। বহু কাছের মানুষ এই মারণসম ভাইরাসের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে।
বহু মানুষ করোনা আর লকডাউনের ফলে কর্মহীন অবস্থায় গৃহ বন্দী হয়ে নয় জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, নতুবা কেউ কেউ হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে। আর ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই সমাজের কাছে কিছু ম্যাসেজ পাঠাতেই এই ধরনের একটি ছবি তৈরির পরিকল্পনার সিধান্ত নেয় বলে জানালেন ছবির পরিচালক।