কলকাতা পুলিসকর্মীর অভিনব প্রয়াস, হাসপাতালের রোগীদের মাঝে মাক্স স্যানিটাইজার নিয়ে করোনা সচেতনতার বার্তা

0

HnExpress ১০ই ডিসেম্বর, অরুণকুমার, শিলিগুড়ি ঃ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় সমালোচনার ঝড় তুলি। কিন্তু পুলিশের মধ্যেও কিছু ভালো মানুষ রয়েছেন, যারা সমাজ সচেতনতার লক্ষ্যে নানা ভূমিকা পালন করে চলেছেন সবার অলক্ষ্যে নীরবে। এমনই এক অভিনব ছবি আমরা দেখতে পেলাম উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সের এক মহকুমা শহরে। কলকাতা পুলিসকর্মীর অভিনব প্রয়াস, হাসপাতালের রোগীদের মাঝে মাক্স স্যানিটাইজার নিয়ে করোনা সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

গতকাল বুধবার মালবাজার সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল এর সামনে দেখা গেল এক অদ্ভুত পুলিশকর্মীকে। যিনি গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে মাক্স স্যানিটাইজার সাবান বিতরণ করছেন। যার নাম বলছি তিনি কলকাতা পুলিশের কর্মী বাপন দাস। লকডাউনের পর থেকেই তার এই কর্মসূচি উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার বিভিন্ন হসপিটালে চলছে। এর আগেও কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হসপিটাল, আরজিকর, পিজি, ক্যান্সার হসপিটাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, শিলিগুড়ি হাসপাতাল, বিভিন্ন জায়গায় তাকে এর আগেক দেখা গিয়েছে।

যেকোনো ধরনের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। যোগাযোগ ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬

এদিন তাঁকে দেখা গেল ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের সুপার স্পেশালিস্ট হসপিটালের সামনে। আজ এই পুলিশ কর্মীকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলেন মালবাজার মহকুমার সমাজ সেবিকা সরস্বতী বণিক, দীপিকা বন্দে ও সুদীপা বণিক। সমাজ সেবিকা সুদীপা বণিক বলেন একজন কলকাতা পুলিশ কর্মী ছুটিতে এসে নিজের বেতনের টাকা দিয়ে এই মালবাজার হসপিটালের বিনে পয়সায় মাক্স স্যানিটাইজার সাবান দিচ্ছেন। এ সে এক অভাবনীয় ব্যাপার, তাই তাকে উৎসাহ দিতেই আমরাও তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।

পুলিশকর্মী বাপন দাস বলেন, এই কাজ চলবে যতদিন না ভারত বর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গে করোনার টিকা সাধারণ মানুষ পাবে। তিনি আরো বলেন, এরপরে আমি উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত কোভিড হাসপাতাল সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের সামনেও যাব। তিনি আরও জানান যে, ডুয়ার্স মালবাজার হসপিটালে এসে দেখি প্রায় সংখ্যক রোগীরাই মুখে রুমাল, গামছা, কেউবা আঁচল, ওড়না ঢাকা দিয়ে হাসপাতালে আসা যাওয়া করছিলেন, তাদের সাহায্য করতে পেরে আমি খুশি।

কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মী বাপন দাসের এই উদ্যোগ আজ সমাজের বিভিন্ন স্তরে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর এই অভিনব প্রয়াস সমাজে পুলিশের কাজের বাইরেও যে একটা আলাদা ভূমিকা ও পরিচিতি আছে সে বিষয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলাই যায়।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply