কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিধি বেঁধে দিল প্রশাসন
HnExpress ৩০শে অক্টোবর, সুদীপ ঘোষ, কৃষ্ণনগর ঃ দিনে দিনে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই এই কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিধি বেঁধে দিল প্রশাসন। এবার স্থানীয় রীতি মেনে ঘট বিসর্জন করা যাবে না এমনটাই প্রশাসন সূত্রের খবর। দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টার মধ্যেই শোভাযাত্রা শেষ করতে হবে। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মণ্ডপে ২৫ জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না, তবে মানসিক দেওয়ার ব্যাপার থাকলে আলাদা বন্দোবস্ত রাখতে হবে পুজো কমিটিকে।
আর সাথে খোলামেলা পুজো মণ্ডপ করতে হবে। রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে পুজো উদ্যোক্তাদের। আর এই পরিস্থিতিতে এই বছর মণ্ডপে অঞ্জলি বন্ধ রাখাই ভালো। ভার্চুয়াল অঞ্জলি দেওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে প্রশাসন। এবং অতিরিক্ত কোনও বাজনা রাখা যাবে না। সর্ব্বোচ্চ ১০ জন ঢাকি মন্ডপে থাকবেন। ঘট ভাসান এবারে হবে না। কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। তবে গাড়ির ব্যবস্থা করলেই ভালো।
প্রতিমা নিরঞ্জনে একমাত্র পুজো কমিটির লোক জনই যেতে পারবে। অতিরিক্ত লোকজন যেতে পারবে না। শোভাযাত্রা একমুখী হবে অর্থাৎ যে বারোয়ারি প্রতিমা যেখানে পূজিত হয় সেখান থেকেই সরাসরি জলঙ্গী নদীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। রাজবাড়ী ঘোরানোর অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। থানার নির্দেশেই শোভাযাত্রার সময় ঠিক হয়েছে। দুপুর ২টো থেকে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করতে হবে। রাত ৯টার মধ্যেই বিসর্জনপর্ব শেষ করতে হবে। সকল পুজো কমিটিকে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। ঘাটে সর্বোচ্চ ১০ জনকে যাবার অনুমতি দেওয়া হবে। ঠাকুর বিসর্জনের ব্যবস্থা উদ্যোক্তাদেরই করতে হবে।