কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী জনসমাগম ছাড়াই কাশীপুর উদ্যানবাটীতে পালিত হলো কল্পতরু উৎসব

0

HnExpress ১লা জানুয়ারি, প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কাশীপুর ঃ মহামারী অনেক কিছুই থমকে দিতে পারে, তাই কোভিড পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে ৭৪ বছরে এই প্রথমবার কল্পতরু উৎসবে মানুষ সমাগম একেবারেই বন্ধ থাকছে রামকৃষ্ণ মঠ কাশীপুর উদ্যানবাটীর। কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী  জনসমাগম ছাড়াই কাশীপুর উদ্যানবাটীতে পালিত হলো কল্পতরু উৎসব। ১লা জানুয়ারি থেকে ৩রা জানুয়ারি পর্যন্ত মঠে জনসমাগম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঠ কর্তৃপক্ষ বাগীশানন্দ মহারাজ।

সুত্রের খবর, ঠাকুর ঘর তো বটেই মঠ প্রাঙ্গণেও দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র ভলান্টিয়ার, সাধু, ব্রহ্মচারীরা ও মিডিয়া প্রবেশ করতে পারবেন। শ্রী শ্রী ঠাকুরের পুজোর আচার, হোম-যজ্ঞ সব কিছু নিয়ম মেনেই আয়োজিত হবে ঠাকুর ঘরে। কল্পতরু উৎসব সরাসরি সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঠ কর্তৃপক্ষ। কল্পতরু উৎসবে কাশীপুর মঠের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে শ্রী শ্রী ঠাকুরের পুজো, হোম সরাসরি দেখানো হবে। 

এদিন ভোর সাড়ে চার’টেয় মঙ্গলারতি হয়। আর সকাল সাতটায় শ্রী শ্রী ঠাকুরের বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় শ্রী শ্রী ঠাকুরের হোম, ভোগ আরতি এবং নিচের হল ঘরে গান ও ভক্তিগীতি পাঠ সুসম্পন্ন হয়। এই কাশীপুর উদ্যানবাটী বা রামকৃষ্ণ মঠ, কাশীপুর হল, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একটি শাখাকেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি উত্তর কলকাতার কাশীপুর অঞ্চলে অবস্থিত। জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ১৮৮৫ সালের ১১ই ডিসেম্বর থেকে ১৮৮৬ সালের ১৬ই অগস্ট অর্থাৎ তাঁর প্রয়াণ পর্যন্ত কাশীপুর উদ্যানবাটীতেই বসবাস করে ছিলেন।

এই মঠের বাগানে একটি আমগাছের তলায় দাঁড়িয়ে ১৮৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি তিনি তার গৃহস্থ শিষ্যদের আশীর্বাদ করেছিলেন। ঘটনার স্মরণেই প্রতি বছর ১লা জানুয়ারি এই কল্পতরু উৎসব পালিত হয়। কাশীপুর উদ্যানবাটী ছিল বিশিষ্ট জমিদার রানী কাত্যায়নীর জামাই গোপাল লাল ঘোষের সম্পত্তি। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ভক্তগণ তাঁর কাছ থেকে মাসিক ৮০ টাকা ভাড়ায় প্রথমে ছয় মাস ও পরে আরও তিন মাসের জন্য এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ছিলেন। উদ্যানবাটীর মোট এলাকার আয়তন ছিল ১১বিঘারও কিছু বেশি।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply