আবারও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার আলিগড়ের তিন বছরের শিশু টুইঙ্কল শর্মা

0

HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত ঃ যখন অন্যান্য দেশ সহ সারা ভারতবর্ষ জুরে সমগ্র সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে ঈদ্ উদযাপনের আনন্দে মাতোয়ারা, ঠিক সেই ঈদের ঠিক তিনদিন আগে অর্থাৎ ২রা জুন এক তিনবছরের খুঁদে শিশু কন্যা টুইঙ্কল শর্মাকে নির্মম ভাবে শারীরিক নির্যাতন করার পরে হত্যা করে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে যায় মহম্মদ জাহিদ ও আস্লাম নামক মানুষরূপি দুই জীবন্ত নরপিশাচ।

ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর প্রদেশের আলিগড় শহরাঞ্চলের। সুত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্ষক তাকে খুন করার আগে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মাত্র আড়াই কি তিনবছরের একটা বাচ্চার সাথে এতখানি নৃশংসতা আজ এই প্রথম নয়। বহু বছর ধরেই দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে চলে আসছে নারী-শিশুদের উপর এমনই নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা।

For further details or any queries Plz contact Us

কিছুদিন আগেই আসিফার সাথে হওয়া যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে গোটা দেশ তথা দেশের সমগ্র বুদ্ধিজীবিরা গর্জে উঠেছিল, আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ঈদ্ এর দিন তিনেক আগে, উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। আজ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চারিদিকে আবারও সেই আওয়াজ উঠেছে, “সবাই এক হও আর এই নোংরা বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলো।

তবে তা কোনো ধর্মকে ইঙ্গিত করে নয়। যেমন আসিফার জন্যে গর্জে উঠেছিল দেশ, ঠিক তেমনি তিন বছরের এই নিষ্পাপ শিশু টুইঙ্কেল এর জন্যেও গর্জে উঠেছে বহু মানুষ, তাদের স্লোগান_ “Justice For Twinkle Sharma৷” ধর্ষিতা বা ধর্ষক কারোই কোনো ধর্ম হয় না৷ আর ধর্ষকের একটাই পরিচয় সে ধর্ষক, খুনীর পরিচয় সে খুনী। তাই এই জঘন্য ও নৃশংস শারীরিক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইছে গোটা দেশ।

If U like publish any type of Advertisements, Plz contact Us.

অন্যদিকে আলিগড় পুলিশ জানিয়েছে, টুইঙ্কলের বাবার সাথে বহু দিনের বিবাদের জেরেই পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে এই তিন বছরের শিশুটিকে। আলিগড় পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তারা আরও জানালেন যে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ এখনো অব্দি পাওয়া যায় নি, তবে খুনের আগে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল।

এদিকে অবিলম্বেই দোষীকে গ্রেফতার করে এই নোংরা হত্যাকাণ্ডের অপরাধে চরম শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সারা দেশ জুরে। যদিও ৪ঠা জুন দোষীদের গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করা হয়েছে। এখন মানবিকতার কাছে শুধুই প্রশ্ন “আর কত দিন, কত দিন চলবে এইভাবে?” আর কত নিষ্পাপ শিশু, নারী বা পুরুষ নির্মম বদলার আগুনে অত্যাচারিত বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে?

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply