বিগত দশ বছরে বারাসাতের সার্বিক উন্নয়ন অক্ষুণ্ণ ঃ সুনীল মুখার্জী
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসাত ঃ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের কটাক্ষ, বারাসাতের সার্বিক তো দূর, সম্পূর্ণ উন্নয়নই থমকে আছে। অন্যদিকে তৃনমূল সরকার বলছে যে, সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। এদিন এইচ এন এক্সপ্রেসের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গে মুখোমুখি হলেন বারাসাত পৌরসভা পৌর প্রশাসক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র সুনীল মুখার্জী।
তিনি বলেন যে, “যাঁরা এসব কথা বলছে তাঁরা হলো নিন্দুক। এরা চোখে ঠিক দেখতে পায়না। বারাসাতের উন্নয়ন হয়নি এটা একমাত্র এসব নিন্দুকরাই বলতে পারে। আমরা এই ক’বছরে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাকা পিচের রাস্তা তৈরি করেছি। ২২৫ কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা করেছি। প্রতিটা ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল দিয়েছি। প্রায় একশ কোটি টাকার ড্রেনেজ করেছি। সাথে এলিডি লাইট লাগিয়েছি চারিদিকে। ৫০ টা হাই মাক্স লাইট করেছি। চারিদিকে শিশু উদ্যান করেছি। ইলেক্ট্রিক চুল্লি করেছি।
এছাড়াও স্টেডিয়ামকে আধুনিক স্টেডিয়ামে রূপান্তরিত করেছি। এর জন্য কুড়ি কোটি টাকা বহাল করা হয়েছে। এরপরও যাঁরা বলছে যে বারাসাতে উন্নয়ন থমকে আছে, তাঁরা উন্নয়ন কাকে বলে সেটাই জানে না। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এই গত ১০ বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তা আগে কখনও হয়নি।” এরপর ভোট প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিদিষ্ট নিয়মেই আমাদের ভোট প্রচার হচ্ছে। আমরা মনে করি প্রচারে আমরা অনেকটা এগিয়ে আছি। সমস্ত দেওয়াল লিখন হয়ে গেছে।
আমাদের ধারে কাছে অন্য দলের কোনো প্রার্থী নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেই আছেন। কারন ১০ বছরে তিনি বাংলার জন্য যা করেছেন, তাতে কারোর মুখে শুনলাম না মানুষ অসন্তুষ্ট। সাধারন মানুষের জন্য যে প্রকল্প গুলো করেছেন, সেই প্রকল্পে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সব কিছুতেই উপকার পাচ্ছে সাধারন মানুষ।” অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে করোনার গ্রাফ বেড়ে যাওয়ায় আবার লকডাউন হতে পারে।
সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সারা পশ্চিম বাংলাতে আজ মৃত্যুর হার মাত্র ২ জন। করোনা বৃদ্ধির তো কোনো লক্ষন দেখছি না। হাসপাতালে যারা ভর্তি ছিলেন তাঁরা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। সারা ভারতে করোনা মহামারী কন্ট্রোল যদি কেউ করে থাকে তবে তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার আন্তরিকতায় স্বাস্থ্য বিভাগ যে ভাবে কাজ করেছে তা নিসন্দেহে প্রসংশনীয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাক্সিন তো আছেই। আমরাও অনেককে ভ্যাক্সিন দিচ্ছি।”