বারুইপুরে চোর সন্দেহে উলঙ্গ করে গণধোলাই প্রমোটরকে

0


HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ
আদালতের রায়ে উপযুক্ত দোষীকে শাস্তির ঘটনায় সমাজ যেমন সাক্ষী হয় তেমনি চোর সন্দেহে কোনো ব্যাক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনারও সাক্ষী হয়। ভাঙরের কাশীপুর, এন্টালির পর বেহালা। এবার বারুইপুরে পিটিয়ে খুন করা হলো এক যুবককে। বছর পঁয়ত্রিশের নিহত ওই প্রোমোটারের নাম অভীক মুখার্জি। গভীর রাতে বান্ধবীকে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে বারুইপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তরুণ প্রোমোটার। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রোমোটারের বান্ধবী পেশায় বার ডান্সার।

এদিন রাত ১২ টা সময় কলকাতার নেতাজি নগরের বাড়ি থেকে নিজের বাইকে করে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা তাঁর ওই বান্ধবীকে নিয়ে বারুইপুরের বেগমপুরের দুশো কলোনিতে যান। গভীর রাতে তাঁকে ছাগল চোর সন্দেহে কলোনির বাসিন্দারা বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে বাঁশ ও রড দিয়ে নৃশংসভাবে বেধড়ক মারধোর করে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছ বলে অভিযোগ। অত রাতে বাইকের শব্দ পেয়ে গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরেন যুবকের বাইকটি।



যুবকের বার ডান্সার বান্ধবী পাশের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ততক্ষণে অভীককে বাইক থেকে নামিয়ে বিবস্ত্র করে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর শুরু করে উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাইকটিও। এদিন ঘটনার খবর পেয়ে রাত ২টো নাগাদ বারুইপুর থানার পুলিশ অচেতন অবস্থায় অভীককে উদ্ধার করে স্থানীয় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল থেকে অভীকের বন্ধুদের খবর দেওয়া পর তাঁরা বারুইপুর হাসপাতালে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, পূর্ব-পরিকল্পনা মতই অভীককে খুন করা হয়েছে। অভীকের মামা রাজীব মজুমদার ও অভীকের বন্ধুদের অভিযোগের আঙুল ওই বার ড্যান্সার তরুণীর দিকে। এই ঘটনার সঙ্গে ওই তরুণীও যুক্ত বলে মনে করছেন তাঁরা। যদিওবা তরুণীর মা এতো বড়ো ঘটনার পর পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে মনোরোগী।



এর আগেও তামা চুরির অভিযোগে সন্দেহের বশে এক কিশোরকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের ইস্টার্ন সাবার্বান ডিভিশনের এন্টালি থানা এলাকায়৷ বসাকবাগান এলাকার এক বাসিন্দাকে মোবাইল চোর সন্দেহে রাতভর পেটানো হয় মানিকতলার মেন রোডে৷ রাস্তার ধারের একটি অটো থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ দেহে আঘাতের চিহ্ন গুলো স্পষ্ট ছিল। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো বারুইপুরেও। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানা।



FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply