কৃষকরা অনড় বেসরকারিকরণ এর ভয়ে, ন্যায্য দাবী না মানলে কি পালা বদল কেন্দ্রেও?

0

HnExpress ১০ই ডিসেম্বর, প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, ঃ “আগে ছিনিয়ে নিতে হবে জয়, তা না হলে বাড়ি ফেরা নয়” এই মনোভাব নিয়েই ক্রমশ এগোচ্ছে কৃষকেরা। প্যাঁচে পরেছে মোদি সরকার ও তাঁর আত্মনির্ভর বিকাশ। দেশের অন্তত ২৫ টি রাজনৈতিক দল কৃষকদের আহ্বানে সাড়া দেশ ৮/১২ ঘন্টার বনধকে সমর্থন করেছে। দেশের কৃষকরা অনড় এই বেসরকারিকরণ এর ভয়ে, ন্যায্য দাবী না মানলে কি পালা বদল কেন্দ্রেও? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শ্রমিক, খেতমজুর, ছাত্র, যুব, অভিনেতা, মহিলাদের সংগঠনের পাশাপাশি সমাজের নানা স্তরের মানুষ ভারতীয় কৃষকদের সঙ্গে থাকার আওয়াজ দিয়েছেন। দিলজিৎ দোসাঞ্জের পর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও বিজেপির সাংসদ অভিনেতা সানি দেওল, অভিনেতা সনু সুদ ছাড়াও বিভিন্ন মান্যগন্য ব্যাক্তিরাও সমর্থন করছেন। ধিক্কার পেরিয়েছে দেশের সীমানা।

কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের সময় করোনা কালেই ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত সেপ্টেম্বরে সংসদে তিন কৃষি আইন পাশ করে, যে আইন কৃষকদের সহায়ক নয়। কৃষকদের আসল আয়ের হিসাব দেখতে গেলে বার্ষিক গড় আয় হয়, ৭৭ হাজার ১২৪ টাকা। অর্থাৎ মাসে দাঁড়াচ্ছে, ৬,৪২৭ টাকা। অন্যদিকে তাঁদের মাসিক খরচও ৬ হাজারের বেশি। তার পরেও যদি তাদের সহায়ক মূল্য তুলে নেওয়া হয় তাহলে আত্মহত্যার হার আরও বেড়ে যাবে বিশেষজ্ঞদের মত।

কৃষিজমি এবং ফসল বিক্রির ব্যবস্থা কয়েকটি কর্পোরেট কোম্পানির হাতে তুলে দিতেই বানানো হয়েছে এই তিন আইন। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞদের মত খাদ্য শস্যের ভান্ডার নাকি উপচে পড়ছে। আর এই কারণ দেখিয়েই সরকারি ফসল সংগ্রহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কর্পোরেটরা সুযোগ পাবে ফসল সংগ্রহ করার অধিকার। যার মোদ্দা কথা হলো বেসরকারিকরণ। যার ছায়া বীমা, ব্যাংক, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

তবে তার প্রতিবাদে বামেদের ডাকা বাংলা বন্‌ধ ও মোর্চার ডাকা ভারত বন্‌ধের পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারের আগে বৈঠকের কোনো উত্তর মেলেনি। বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে সাড়ে তিন ঘন্টার আলোচনাতেও কোন সদুত্তর মিললো না। কৃষকরা দাবি মানতে নারাজ। অর্থনীতির ভিত যেখানে তলানিতে ঠেকেছিল, সেইখানে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষির মতন জরুরি ব্যবস্থাকে কি ভাবে বেসরকারিকরণ করে দিচ্ছে?

কয়েক বছর পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে, সিঙ্গুরে বামেদের পতনের কারণ ছিল এই কৃষিজমি। যদিওবা তা ভুল পদক্ষেপ ছিলো বলে এখন তা অনেকেই স্বীকার করে। তবে কি এই নতুন কৃষি আইন ভারতীও জনতা পার্টির শেষ পেরেক?

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply