এ বছর মনসুনে রাজ্যে ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ‘ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে গোটা বাংলাও’
HnExpress অরুণ কুমার, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ এ বছর বর্ষায় ঝোড়ো ইনিংস খেলছে বাংলা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল। আর তাই আবারও বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলি।সবখানেই সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। ঘূর্ণাবর্তের জেরে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে যে, এদিন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, বৃষ্টি হলেও থাকবে আর্দ্রতাজনিত এক অস্বস্তিকর বাতাবরণ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রধান প্রধান শহরে মেঘলা আকাশ থাকবে। এদিন শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১°-৩৩° ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭°-২৮° ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। মঙ্গলবার এ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ, ন্যূনতম ৭৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়েছে ০০০.৫ মিমি। এক টানা নিম্নচাপের জেরে অতি বৃষ্টির উন্মাদনায় রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, কয়েকদিন আগেই নিম্নচাপের ফলে টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এখনও জলমগ্ন। বৃষ্টি ও ডিভিসির জলে বানভাসি বিভিন্ন এলাকাগুলো। যার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খানাকুলে উদ্ধারে নামানো হয়েছে NDRF-কে। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন খানাকুল যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এই পরিস্থিতিতে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে নতুন করে আশঙ্কা বাড়ছে। এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদায় বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ উপকূলে আবারও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যার জেরেই রাজ্যে তুলনামূলক বৃষ্টি হতে পারে।