৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়ো হাওয়া, বজ্রপাত সহ তুমুল বৃষ্টি বঙ্গে
Cyclone Remal Alert প্রতি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতি বেগে ঝড়ো হাওয়ার সাথে থাকবে মেঘের তর্জন-গর্জন। তুমুল বৃষ্টির সাথে সাথে রয়েছে বজ্রপাতের সম্ভাবনা। তাই সতর্ক বার্তা দিলো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
HnExpress ২২মে ওয়েদার রিপোর্ট ঃ এবছর দেশে বর্ষা অনেক আগেই আসতে চলেছে, আর তার আগেই কি বঙ্গে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal), নাকি বর্ষাকে সাথে নিয়েই তার গৃহপ্রবেশ ঘটবে? যদি তাই হয় তাহলেও কেমন হবে তার দাপট? বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় রেমালকে নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। যদিও আবহাওয়া দফতর এই বিষয় এখনও তেমন পরিস্কার করে কিছু জানায়নি।
একটা তীব্র নিম্নচাপের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত পড়তে চলেছে শুধু এটুকুই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Office)। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার উপরে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গপোসাগরের একটি ঘূর্ণাবর্ত স্পষ্ট হয়েছে। বুধবার ২২ তারিখেই এটি নিম্নচাপে রপান্তর হতে পারে বলে হাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস রয়েছে।
পরবর্তীকালে এই নিম্নচাপ সরতে সরতে যাবে উত্তর-পূর্ব দিকে। তারপর শুক্রবার নাগাদ মধ্য বঙ্গপোসাগরের দিকে অগ্রসর হয়ে যাবে এই ঘূর্ণাবর্ত। তারপর এই সিস্টেম (System) গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে। গভীর নিম্নচাপ তৈরি হলেই তা ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে আরো শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
তখন এর অভিমুখ হওয়ার সম্ভাবনা উত্তর পূর্ব দিকে। এরপর তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে কি না সেটা এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তখন তার নাম হবে রেমাল। তাই সতর্ক হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারই মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর সুত্রে খবর, শুক্রবার থেকেই উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হবে।
তাই আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে বইকি। অন্যদিকে বেশকিছু আবহবিদ মনে করছেন যে, প্রবল শক্তিশালী না হলেও রেমাল (Remal) আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে। তবে ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই আগামী পাঁচ দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মেঘের তর্জন-গর্জন তো থাকবেই। সাথে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনাও থাকছে।