ফুসঁছে অজয় নদ, নানুর সহ ভাঙ্গন দেখা গেল একাধিক বাঁধে
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ফুসঁছে অজয় নদ, নানুর সহ ভাঙ্গন দেখা গেল একাধিক বাঁধে। প্রায় ৪০টি গ্রাম জলে ডুবে গেছে। জলের তলায় নানুরের বাসতলা। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬জন নিখোঁজ, ভেসে গেছে জলের তোড়ে। ফলে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে গ্রামবাসী। এদিকে বাঁধ ভেঙেছে মঙ্গলকোটের কুমারপুরেও। আউশগ্রামে অজয় নদের বাঁধেও ফাঁটল ধরেছে। বর্ধমানের কাটোয়ার রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অজয় নদের প্লাবিত জল।
এরই সাথে প্লাবিত হয়েছে বীরা, শুলা, দেউলিয়া সহ বহু এলাকা। বাঁকুড়ায় জলের তোড়ে ভেঙে গেল কাঠের নির্মীয়মান সেতু। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কংক্রিটের সেতুর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসানসোল শহর। জলের তোড়ে ডুবে গেল ঘাগরবুড়ির মন্দির। মন্দিরের একাংশ সহ আশেপাশের বহু দোকানও ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। জলের তোড়ে ভেসে আসা নোংরা আবর্জনা এসে জমা হচ্ছে মন্দির সংলগ্ন চাতালে।
অপরদিকে ভাসছে মেদিনীপুরের ঘাঁটাল শহর। মৃত্যু হয়েছে ৪ বছরের একটি তরতাজা শিশুর প্রাণ। নবান্ন সুত্রের খবর, আগামীকালই আকাশপথে এই বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে জলের তলায় তলিয়ে গেছে বহু কৃষিজমি। রাজ্য জাতীয় সড়ক এখন জলের তলায়, ফলে এলাকায় অস্থায়ী রূপে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিন বন্যা পরিস্থিতিতে ডিভিসির জল ছাড়াকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোপ দাগালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আজ ঝাড়খণ্ডের বোঝা বইতে হচ্ছে বাংলাকে। গতকাল রাত ৩টে নাগাদ আগাম কোনো কিছু না জানিয়ে মাইথন থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮০ হাজার কিউসিক। অন্যদিকে, পাঞ্চেত থেকে ছাড়লো ৫৫ হাজার কিউসেক জল। এই জল ছাড়ার পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে। ডিভিসির এই জল ছাড়ার ফলে বড়সড় বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। না বলে জল ছাড়ার জন্যই এই বন্যা পরিস্থিতি, যাকে এক কথায় ম্যান মেড বন্যা বলে অবিহিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।