মছলন্দপুর জনসভা থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

0

HnExpress অরূপ অধিকারী, উত্তর ২৪ পরগণা ঃ ফের বাগদার পর এবার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মছলন্দপুর বলাকা ক্লাবের খেলার মাঠে ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের ডাকে এক জনসভায় এসে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, অমিত শাহ ঠাকুরনগরে আসবেন না। মতুয়াদের নিয়ে বিজেপি খেলা করছে মাত্র। তিনি আরও বলেন যে, ভোটে খেলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবার তৃণমূল সরকার গঠন হবে। ২০২১ সালের বিধানসভার গননার পর এই সব গদ্দারা কোথায় যাবে?

কারন মানুষ আমাদেরকেই ভোট দেবে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাজের উন্নয়নকে দেখে। উন্নয়ন এটাকেই বলে, মছলন্দপুর এর অলিতে গলিতে পাকা রাস্তা হয়েছে, মছলন্দপুরে ভূদেবস্মৃতি স্কুলের সামনের গলি থেকে বেলেডাঙ্গার গেট পর্যন্ত লাইট লাগানো হয়েছে। এর আগে কোন সরকার এতো কাজ করেনি। ফের একবার কেন্দ্রেকে বিঁধতে ছাড়লেন না রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

তিনি আরও বললেন, “অমিত শাহ ঠাকুরনগরে না আসায় মতুয়াদের মধ্যে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে আমাদের থেকে চলে যাওয়া কাঁচরাপাড়ারার এক গদ্দার এবং মধ্যপ্রদেশের ওদের এক নেতা মতুয়াদের বলে এসেছিলেন মঞ্চ থাক। অমিত শাহ নাকি ২৪,৪৮,৭২ ঘন্টার মধ্যেই আসবেন। সেই সময় পেরিয়ে গেছে। এখনো আসেননি। মতুয়াদের সাথে এন আর সি নিয়ে ধাপ্পা দিয়েছে বিজেপি।

আমি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছি, অমিত শাহ ৭২ বছরেও এখানে আসবেন না। আবার বিজেপির অনেক নিন্দুকেরা বলছে যে আমিও নাকি বিজেপিতে যোগাযোগ করছি। সেই সব নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা জেনে রাখুন, মরে যাবো, গলায় দড়ি দেবো তবুও ওই প্রবঞ্চকের দল, ধাপ্পাবাজের দল বিজেপি আমি করবো না। আমার নেত্রীর নাম মমতা ব্যানার্জী। এত বছর মমতা ব্যানার্জীর আশীর্বাদে দলে থেকে বিধায়ক, মন্ত্রী হয়ে গদ্দারি আমি করতে পারবো না।”।——

বুধবার বিকালে হাবড়া ১ নম্বর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের আয়োজনে মছলন্দপুর বলাকা সংঘের মাঠে এক জনসভায় এসে এই কথাই বললেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন খাদ্য মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুজাতা খাঁ, তাপস রা, হবরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা সহ আরও অনেকেই।

হাবরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বিজেপির ফ্লেক্স ছেড়া নিয়ে বলেন, তৃনমূল এই সব কাজ করে না। আমাদের ফ্লেক্স ছেড়ে তখন আমরা সরাসরি কাউকে দোষারপ করি না। বলি বিরোধীরা এই কাজ করেছে। আর যদি কেউ করেই থাকে, তাহলে আইনি ব্যাবস্থা নেন। আর আজ বিজেপি গণতন্ত্রের কথা বলছে, ওদের কি গণতন্ত্রের কথা জানা আছে কিছু? আমরা তো দেখছি, দেশের রাজপথে কয়েক লক্ষ কৃষক শীতের মধ্যেও দেড়মাস ধরে রাত কাটাছে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply