প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু জলপাইগুড়িতে

0

HnExpress ১৯ই জুন অরুণ কুমার, জলপাইগুড়ি ঃ জলপাইগুড়িতে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃত্যু হলো মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারীর। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়া এলাকায় বছর ৭৪ এর এক বৃদ্ধের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা গেছিলো।

গত কয়েকদিন ধরে বাড়াবাড়ি হওয়ায় প্রথমে তাকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত বুধবার জ্বর সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা কোভিড হাসপাতালের সারি বিভাগে ভর্তি হন শহরের রায়কতপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় জলপাইগুড়ি সারি হাসপাতাল থেকে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর আজ তাঁর মৃত্যু হয়। দেহে করোনা ভাইরাস এর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানান অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়। শারীরিক আরও কিছু সমস্যা থাকায় গতকাল তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সকালেই মৃত্যু হয় তার।

শুক্রবার বিকেলে লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহরে। রাতে সাহুডাঙ্গি তে শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যান পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি রায়কতপাড়ার বাসিন্দা মৃত ব্যক্তির বাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকা জীবানু মুক্ত করার পাশাপাশি এলাকার একটা অংশকে কনটেন্টমেন্ট জোন করা হবে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে বৃদ্ধর দেহে করোনার ভাইরাস পাওয়ায় তার বাড়ি সংলগ্ন এলাকাকে কন্টাইনমেন্ট জোন ঘোষনা করে শুক্রবার বিকেলেই স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করে দেয় জলপাইগুড়ির পৌরসভা। জলপাইগুড়ির শহরে এই প্রথম করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর পর সেখানকার পৌর প্রশাসক সৈকত চ্যাটার্জী জানান এই এলাকায় থাকা এক ব্যাক্তি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মারা গেছে।

তার দেহে করোনা ভাইরাস এর সন্ধান পাওয়া গেছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। দেহ শাহুডাঙিরই শ্মশানে দাহ করা হবে। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে টিম নিয়ে এসে এই এলাকা কনটেনমেন্ট জোন করে বাঁশ লাগিয়ে এলাকা স্যানিটাইজ করেছি। স্থানীয় মানুষের মতে এলাকা সিল করা ও স্যানিটাইজ করা আমাদের সুরক্ষার জন্য এই কাজ ভীষন জরুরি ছিলো। পৌরসভার কাজে তাঁরাও খুশি।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply