বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশ জারি করল

0

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ বিগত বেশ কিছু দিন যাবৎ বেড়েছে ঝড় বৃষ্টি সহ বজ্রপাতের পরিমাণ, ফলে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনাও। গত কয়েক দিনে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের, আহত হয়েছেন অনেকেই। সাধারণত জুনের প্রথম সপ্তাহেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঋতুরাজ বর্ষা প্রবেশ করে। কিন্তু এ বছর তার কিছুটা পালা বদল হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সুত্রের খবর, ইয়াসের পরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে আরেকটি নিম্নচাপের।

যার হাত ধরেই আগামী ১১ই জুনের মধ্যে বঙ্গে বর্ষা ঢুকতে চলেছে। তবে বর্ষা ঢোকার আগে থেকেই ঝড়-বৃষ্টি সহ বজ্রপাতের প্রবণতাও প্রবলতর হয়ে উঠেছে। আর সেই বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশ জারি করেছে। সেই জরুরি নির্দেশন গুলো হলো নিম্নরূপ—

১. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, ধাতব পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না।

২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড বা চৌম্বক স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে ।

৩. খোলামেলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরত্বে সরে যেতে হবে।

৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক ঘরে না থেকে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ঘরে চলে যান।

৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এছাড়াও রাস্তায় যেকোনো গাছ থেকে অন্তত চার মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকুন। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে যাতায়াত করা যাবে না, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।

৭. বজ্রপাত বা ঝড় বৃষ্টি শুরু হলেই ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিন।

৮. প্রাথমিক পর্যায় বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমেই চিকিৎসা করতে হবে।

৯. স্বভাবতই বর্ষা ঋতুর আগমনে এপ্রিল-জুন মাসেই বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে উলম্ব মেঘ দেখা গেলেই ঘরের ভিতরে বা নিরাপদ আশ্রয়ে প্রবেশ করুন।

১০. ঝড় বৃষ্টি বা বজ্রপাত শুরু হলেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দালান বা পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিন।

১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় একদম দাঁড়াবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।

১২. আকাশে ঘন-কালো মেঘ থাকাকালীন নিতান্তই জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেড়ানোর সময় রাবারের তৈরী জুতো ব্যবহার করুন।

১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

১৪. নিজেদের সুরক্ষার জন্য বজ্রপাত সহ বৃষ্টির সময় প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।

১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে একেবারেই থাকা চলবে না।

১৬. কালো বা উলম্ব মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।

১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে যাওয়া আসা বন্ধ রাখুন।

১৮. কোনো কারণে বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকাকালীন পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে কানে আঙুল গুজে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।

১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করুন।

২০. বজ্রপাতের সময় মাঝ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে তড়িঘড়ি নৌকার ছাউনির নিচে প্রবেশ করুন।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply