ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা শিল্পাঞ্চল
HnExpress ফারহান গাজী, ফলতা ঃ গতকাল রবিবাসরীয় বিকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এর সাক্ষী হয়ে রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতা শিল্পাঞ্চল। বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ফলতা স্পেশাল ইকোনমিক জ়োনের একটি টায়ার তৈরির কারখানা। কারখানার ভিতর প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় কারখানা থেকে দাউ দাউ করে বেরিয়ে আসে আগুনের লেলিহান শিখা। একই সাথে বার হতে থাকে আকাশচুম্বী কালো ধোঁয়া। একে ভিতরে মজুত বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ, তার উপরে দোসর হিসাবে উপস্থিত হুগলি নদীর ঝোড়ো হাওয়ার তীব্র বেগ।
ফলে ঝড়ের গতিতে আগুন বিধ্বংসী আকার ধারণ করে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে আরও চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। সাথে সাথেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। কারখানার ভিতর প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকলকে। টায়ার তৈরির কাঁচামালের পাশাপাশি পুরনো বহু জিনিসপত্র ছিল ভস্মীভূত হওয়া কারখানার অন্দরে।
পকেট ফায়ারের সম্ভাবনা থাকায় ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। ক্রমাগত জল ঢালার কাজ চলছে। সূত্রের খবর, গতবছর লকডাউনের সময় থেকে কারখানার গেটে তালা ঝোলানো হয়েছিল। পরিস্থিতির বিচারে আগামী বৈশাখ মাস থেকে ফের তা খোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কোথায় কি! তার আগেই তো এমন ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে চলে গেল সব কিছুই। গত বৃহস্পতিবার টায়ার তৈরির জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কাঁচামাল কারখানায় আনা হয়।
সবই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানান কারখানার সুপারভাইজার। কিন্তু কি ভাবে আগুন লাগল? আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয়। এমনটাই জানিয়েছেন দমকল বাহিনী। তবে প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই আগুন লাগে কারখানায়। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার কাছাকাছি। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও, ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।