সোশ্যাল ডিসটেন্স ও কোভিড প্রোটোকল মেনেই মধ্যমগ্রামে চালু হল জেলা খাদি মেলা, প্রবেশ অবাধ

0

HnExpress ২৪শে ডিসেম্বর, প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, মধ্যমগ্রাম ঃ মেলা শব্দের অর্থ হলো মিলন। যেখানে একের অধিক মানুষের মিলন হয় কোনো এক উৎসব কিম্বা শিল্পকে কেন্দ্র করে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবাংলার ঐতিহ্যমন্ডিত খাদি প্রতিষ্ঠান ও নানাবিধ হস্তশিল্পের বিপুল সম্ভার নিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হল জেলা খাদি মেলা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সোশ্যাল ডিসটেন্স এবং কোভিড প্রোটোকল মেনেই চালু হল এই জেলা খাদি মেলা, যেখানে প্রবেশ অবাধ।

২৪শে ডিসেম্বর ২০২০ হতে ৫ই জানুয়ারী ২০২১, পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগণার অন্তর্গত মধ্যমগ্রামের বসুনগর প্রজাপতি সেরিমােনিয়াল হলে প্রতহ্য দুপুর ১টা হতে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত সমস্ত কোভিড সুরক্ষা মেনে অনুষ্ঠিত হবে এই মেলাটি। সবার জন্যই প্রবেশ অবাধ। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা পৌরপ্রধান রথীন ঘােষ সহ উত্তর ২৪ পরগণার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি কৃষ্ণ গােপাল ব্যানার্জী, মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ এবং বিশেষ সচিব, পঃ বঃ সরকার), জেলা আধিকারিক তপনজ্যোতি দাস (পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ, উত্তর ২৪ পরগণা)।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিগন এবং সঞ্চালিকা কথাকলি শর্মিষ্ঠা।অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা পৌরপ্রধান রথীন ঘােষ সহ মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ। পাশাপাশি গান্ধীজীর প্রতিকৃতিতেও মাল্যদান করেন তাঁরা।
এদিন মহিলা পরিচালিত মহিলা ঢাকিবাদ্য প্রদর্শন সহকারে অতিথিবৃন্দকে পুস্পস্তুবক এবং স্মারকপ্রদান করে সম্মান জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন বিশেষ সচিব মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন “বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই এই প্রজাপতি সেরিমােনিয়াল হলে মেলা অনুষ্ঠিত করা হল। মূলত গান্ধীজির খাদি আন্দলনকে মনে রেখেই এই মেলা, যাতে দেশীয় খাদি কাপড়ের উৎপাদন আরও বেশি করে হয়।” তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মেলায় উপস্থিত সকল মানুষকে। এরপর একে একে তপনজ্যোতি, কৃষ্ণগােপাল ব্যানার্জীর বক্তব্যের পর মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা পৌরপ্রধান রথীন ঘােষ তাঁর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।

তিনি এদিন বলেন “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুপ্রেরণাতে এই মেলা বেশ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছে। এতে দেশীয় পদ্ধতিতে খাদি শিল্পের প্রসার হচ্ছে। এমন কি এই মেলা অনেক মানুষকে কর্মসংস্থানের জন্য অনুপ্রেরনা জোগাচ্ছে। তাঁরা খাদির জিনিস বানাতে আগ্রহী হচ্ছে”। অন্যদিকে এদিন, খাদি বোর্ডের জেলা আধিকারিক তপনজ্যোতি দাস ধন্যবাদ জানান সাংবাদিকদের। তিনি বলেন “সাংবাদিক বন্ধুরা এই মেলার কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন এইভাবেই আমাদের পাশে থেকে আমাদের এই কর্মযজ্ঞকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়”।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবাংলার বুকে খাদি মেলা ছাড়াও অনেক মেলাই অনুষ্ঠিত হয়, যা এর আগে অন্য আমলে দেখা যায়নি, ব্যাতিক্রমী বই মেলা ছাড়া। নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি একটি অরাজনৈতিক সভাতে এই মেলাগুলির আয় ব্যায়ের হিসাব চান দল পরিবর্তনের পরেই। যদিওবা এর আগে বিভিন্ন কারনেও তৃণমূল হাইকমান্ডের সাথে বিবাদের জেরে মেলার আয় ব্যয় এর হিসাব কখনই চাননি তিনি। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, যে ভাবেই হোক না কেন রাজ্য সরকারকে নাকাল করাই শুভেন্দু অধিকারির এখন একমাত্র উদ্দেশ্য।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply