আঞ্চলিক ঝড়ের দাপটে কয়েক মিনিটে তছনছ বাঁকুড়ার দেজুড়ি গ্রাম—
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া : কয়েক মিনিটের ঝড়ের (Storm) দাপটে সন্ধ্যার মুখে লন্ডভন্ড হয়ে গেল বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া ব্লকের দেজুড়ি গ্রাম। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন স্থানীয় বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায়। একদিকে যখন প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা থেকে কলকাতা (Kolkata) তিলোত্তমা। অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, ঠিক সেই সময় এদিন আঞ্চলিক ঝড়ের তান্ডব দেখল বাঁকুড়ার দেজুরি গ্রাম।
মঙ্গলবার বিকেল ঠিক পাঁচটার সময় প্রবল বেগে ঝড় আছড়ে পড়ে বড়জোড়ার এই দেজুড়ি এলাকায়। ক্ষণিকের এই আঞ্চলিক ঘূর্ণিঝড়ের (Thunderstorm) সাথে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টিপাতও শুরু হয়। ফলে এলাকার বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ের দাপটে দেজুড়ির মোড়ে একাধিক দোকান এবং বহু বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসন এখনই সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি হিসেব দিতে না পারলেও জানা গেছে, ওই এলাকায় ফসল এবং আম-কাঁঠালের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বসত বাড়িও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘দিনভর ভ্যাপসা গরমে নাকাল হচ্ছিলাম আমরা। হটাৎই আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। আর প্রবল বেগে ঝড় আছড়ে পড়ে আমাদের এই এলাকায়। ক্ষণিকের এই ঝড়ে পুরো লন্ডভন্ড হয়ে যায় গ্রামটি।’ পাশাপাশি এই একই দিনেই বাঁকুড়ার সদর থানা এলাকার আকুরাবাদ গ্রামে বজ্রপাতে (lightning) মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর।
মৃতার নাম পূর্ণিমা বাউরী (৪২)। সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে ঝড় বৃষ্টির সময় ওই মহিলা গরুকে বাড়ির উঠোন থেকে গোয়ালে নিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় বজ্রপাত (Lightning) হয়। পরিবারের লোকেরা দ্রুত উদ্ধার করে পূর্ণিমাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে শেষ রক্ষা হলো না, চিকিৎসকরা দেখা মাত্রই মৃত বলে ঘোষণা করেন।