ভাটপাড়া দাঙ্গার জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা! ১৪৪ ধারায় চলছে পুলিশি টহলদারি

0

HnExpress নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাকপুর সাবডিভিশন : কিছু দিন যেতে না যেতেই বাংলার বুকে পর পর লাগাতার লেগেই চলেছে দাঙ্গা, বোমাবাজি, খুন, যখম সহ এক বিচ্ছিরি অরাজকতার পরিবেশ। চারিদিকে শুধু জ্বলছে আগুন আর আগুন, আকাশে বাতাসে মৃত্যুর হাহাকার। গতকালকেও বোমা-গুলির লড়াইয়ে দাঙ্গায় পরিণত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়া থানার অন্তর্গত কাঁকিনাড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

সুত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, গতকাল দুই দলের সংঘর্ষের জেরে চলে এই মৃত্যুর তান্ডব, যেখানে প্রচন্ড গোলাগুলি ও বোমাবাজির ফলে মৃত্যু হয় প্রায় জনাদুয়েক। তাদের দুইজন মৃতের নাম রামবাবু সাউ ও সন্তোষ সাউ। জখম হয়েছেন আরো বহু নিরীহ মানুষ।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই ভাটপাড়ার নবগঠিত থানার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে গ্যাংওয়ার শুরু হয়। এলোপাথাড়ি গুলির সাথে চলে তুমুল বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে ১০ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশও। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও এলাকায় এখন কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে। শুরু হয়েছে পুলিসি টহল। দুইদিন অন্তর অন্তর এই এলাকায় জারি করতে হচ্ছে ১৪৪ নম্বর ধারা।

এছাড়াও গতকাল এলাকায় তথা সোশ্যাল মিডিয়াতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, এবং কোনো রকম গুজবের দ্বারা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি না হয় তার জন্য প্রায় মধ্য রাত থেকেই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে পরেও এলাকায় এক ভয়ংকর নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। এতটাই থমথমে পরিবেশ যে, এ যেন মনে হচ্ছে প্রলয়ের ঠিক আগের মুহূর্ত।

যেকোনো রকম বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।

ফলতঃ এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতংকিত, কি জানি কখন কি হয়, কি ঘটে যায় আবার। অন্যদিকে গতকালকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, একদল সন্ত্রাসবাদী বহিরাগত দুস্কৃতী মুখে কাপড় চাপা দিয়ে এদিন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে বেড়ায়। ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গেছে দুস্কৃতীদের গুলি চালাতে এবং থানার সামনে থাকা রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরাটিকেও ঢিল ছুড়ে ভাঙ্গার চেষ্টা চালায় তারা।

এলাকার তৃণমূলের নেতাদের দাবী আজকের এই পরিস্থিতির দায় সাম্প্রদায়িক বিজেপি দলের পোষা হার্মাদদের। প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিতেই গুঁড়িয়ে দিতেই বিজেপি’র এই সন্ত্রাস। অন্যদিকে সুত্রের খবর জানাচ্ছে, এলাকার বিজেপি নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিং এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ মাথা পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন।

বিস্বস্ত সুত্রের খবরে, ঘোষপাড়া রোড থেকে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটিং। বিজেপির একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আজ ভাটাপাড়ার পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসার কথা। পরিস্থিতি সরেজমিনে তদন্ত করে খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহকে রিপোর্ট পেশ করবেন তারা। এছাড়াও এদিন গুলি-বোমার আঘাতে নিহতদের মৃত্যুর প্রতিবাদে গেরুয়া শিবির ডাক দিয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ঘেরাও কর্মসূচির।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply