বিমান বিভ্রাটে মুখ্যমন্ত্রীর কোমড়ে চোট, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে তলব এয়ারপোর্টস অথিরিটি অফ ইন্ডিয়াকে

0


HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ ঃ শুক্রবার বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার পথে বিমান বিভ্রাটের শিকার হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতাতে বিমান ঢোকার পর আচমকা এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে যায়। হঠাৎ করে অনেকটাই নীচে নেমে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। এই কারনে কোমড়ে চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। বিমান চালক নির্বিঘ্নেই বিমানবন্দরে বিমান নামালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান বিমানের রুট ক্লিয়ারেন্স ছিল কি না? বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, রুট ক্লিয়ারেন্স ছিল।

আচমকাই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। তবে এ হেন ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সুত্রের খবর। বারানসীতে অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে যোগ দিতে তিনি গেছিলেন। একই সঙ্গে কাশী বিশ্বনাথও দর্শন করার কথা জানিয়ে ছিলেন তিনি। সেই মতো সেদিনই সন্ধ্যায় বারাণসী পৌঁছান। সেখানে গঙ্গা আরতি দেখতে গিয়ে বিজেপির বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপি চলে যাচ্ছে বলেই এমন কাণ্ড করছে।

বিমান বিভ্রাট বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন নবান্নের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর থেকে জানা যায়, এর আগেও দমদম বিমানবন্দরে বিমান বিভ্রাটে পড়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীকে মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠে আসছে। আর প্রশ্ন এখানেই, যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া ভিভিআইপি’র বিমানে কেন এরকম অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলো?

তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। অসামরিক বিমান চলাচলের নিয়ামক সংস্থা ডিজিসি এর সঙ্গে কথা বলে নবান্নকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে এয়ারপোর্টস অথিরিটি অফ ইন্ডিয়াকে।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনি দেশের প্রথম সারির নেত্রী। তাই তাঁর সুরক্ষা নিয়ে কোনও ধরনের গাফিলতি থাকা উচিত নয়।



আর এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তার দায় এড়াতে পারেন না”। অন্যদিকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “এর আগে এই ধরনের ঘটনা সরকারি ও বেসরকারি উড়ানেও ঘটেছিল। চাটার্ড বিমানে যদি কোনও বিভ্রাট ঘটেই থাকে তাহলে অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত”। এছাড়াও বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখানোর ইস্যুতে কটাক্ষ করে বলেন, “নারী কেন, তিনি তো বাঘিনী। বাঘিনী আবার নারী হয় নাকি?”

এরপর নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে তিনি বলেন, “উনি তো প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালকেও কালো পতাকা দেখিয়েছেন, এবার তিনি নিজেও দেখুন, বুঝুন কালো পতাকা দেখলে কেমন লাগে মানুষের। উত্তরপ্রদেশে তিনি গিয়েছেন, ভালই করেছেন। কাশী গিয়ে অন্তত দেখে আসুন উন্নয়ন কাকে বলে। তারপর কালীঘাটকে অন্তত কাশী করার চেষ্টা করে দেখুন”।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply